দিরিপোর্ট ডেস্ক : নতুন লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন উসাইন বোল্ট। লক্ষ্য ২০০ মিটারে নিজের সেরা সময় কমিয়ে ফেলা৷ ২০০ মিটারে ১৯.১৯ সেকেন্ডের বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে বোল্টের৷ এবার তা থেকে ১৮ সেকেন্ডের আশপাশে নিজেকে নিয়ে আসতে চান জামাইকান স্পিডস্টার৷

নিজের আত্মজীবনী ‘ফাস্টার দ্যান লাইটনিং’ এ রিও অলিম্পিকের জন্য নিজের প্রস্তুতির সবই লিখেছেন দ্রুততম অ্যাথলিট৷ ২৯১ পাতার বইয়ে বোল্ট লিখেছেন, ‘১০০ মিটারে হয়তো পারব না৷ তবে ২০০ মিটারে সময় কমাতে চেষ্টা করব৷ লক্ষ্য থাকবে, ওটা কমিয়ে ১৮ সেকেন্ডের আশেপাশে নিয়ে যাওয়া৷ পারব কী না জানি না৷ তবে নিজেকে ফিট করার আপ্রাণ চেষ্টা করব৷’

২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিককে নিজের অ্যাথলিট জীবনে সবচেয়ে বড় সাফল্যের বছর বলে উল্লেখ করেছেন৷ ১০০, ২০০ ও রিলেতে সোনা জিতেছিলেন৷ ৪ বছর পর লন্ডন অলিম্পিকে ওই ৩টি সোনা জিতে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন৷ সেই বোল্ট চাইছেন ২০১৪ সালে আরও বিশ্বরেকর্ড করতে৷

আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘মানুষ ঘরে বসে দেখবে আমার রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা৷’ বইতে বারেবারে ২০০৮ সালের অলিম্পিকের পারফরম্যান্সকে তুলে ধরেছেন৷ বলছেন, ‘ওই সময়টা আবার ফেরত্‍ পেতে চাই৷ সে জন্য দরকার আরও ফিটনেস৷’

২০০৮ সালের অলিম্পিকে তিনটে সোনা পাওয়া অ্যাথলিট বে্ইজিয়ে থাকার সময় ১০ দিন ধরে এক হাজার চিকেন নাগেট খেয়েছিলেন! কিংবদন্তি অ্যাথলিট খোলামেলা স্বীকার করেছেন, ‘প্রথম দিন লাঞ্চে ২০টা চিকেন নাগেটের একটা বাক্স শেষ করেছিলাম৷ পরেরটা ডিনারে৷ পর দিন সকালে ব্রেকফাস্টে দুটো৷ লাঞ্চে একটা, রাতে আবার দুটো৷ নাগেটের সঙ্গে কিছু ভাজাভুজি আর রুটি খেতাম৷’ বোল্ট নাগেট খাওয়ার খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখেও দিনের পর দিন গড়ে চলেছেন নতুন রেকর্ডও! তার বাড়তি উদ্দীপনার রহস্য ওই নাগেটই।

এই গতিদানবের আত্মজীবনী ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে৷ বইতে লিখেছেন, ‘জীবনে পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ৷ জানি বয়স বাড়ছে৷ জানি আমার সামনে সুযোগ আরও কমে যাবে৷ তবুও থামতে চাই না৷’

আগামী বছরের জন্য অপেক্ষা করছেন বোল্ট৷ লিখেছেন, ‘আমাকে কেউ থামাতে চাইলে, আমি আরও জোরে দৌড়াব৷ আসলে আমি নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ৷ আমি একজন তারকা৷ আমিই কিংবদন্তি৷ একমাত্র আমিই পারি, আমাকে হারাতে৷’

(দিরিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)