দি রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। কথায় কথায় তারা বিরোধী দলের উপর হামলা নির্যাতন গুলি চালাচ্ছে। সরকারের নির্দেশে তাদের ইচ্ছেমতো পুলিশবাহিনী বিরোধী দলের উপর দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে। কারা কী করছে তা আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে।

নয়াপল্টনে রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সারাদেশে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা, নির্যাতন ও তাণ্ডবের’ প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় রিজভী আহমেদ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের খবর গুজব, ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে দাবি করেন।

এর আগে শনিবার রাতে বৈঠকের খবর ভিত্তিহীন বলে নিজেই দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে রবিবার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আবার বিকেলে নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে নেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, সারাদেশে ১৮ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সন্দ্বীপের স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এখনও তার বাসভবন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এ সময় সারাদেশে ১৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার ও ১৫০ জনের অধিক আহত হয়েছে। তিনি গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

তিনি বলেন, গণবিরোধী সরকার মনে করছে বন্দুকের গুলিই তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু নির্যাতন হামলা মামলা ও গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নিজের দাবি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান থেকে মুছে দিয়ে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে আবার ক্ষমতায় বসে থাকতে চায়। তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হবে না।

(দিরিপোর্ট/টিএস/এসবি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)