দিরিপোর্ট ডেস্ক : দাঁতের মাড়ির রোগ বলতে দাঁতের সাহায্যকারী কোষে সংক্রমণকে বোঝায়। এর ভিতর দাঁতে ছিদ্র হওয়া ও মাড়ি আলগা হওয়া অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাকটেরিয়া, মিউকাস ও খাদ্যের ক্ষুদ্রাংশ জমার কারণে মাড়ির রোগ হয়। অনেক সময় ব্রাশের কারণে এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ডায়াবেটিস, গর্ভধারণের প্রাথমিক কাল ও যারা দাঁতের যত্ন নেন না তারা দাঁতের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হন।

মাড়ির রোগের প্রাথমিক অবস্থাকে বলা হয় জিনজিভিটিস। এটা সাধারণত যন্ত্রণাহীন হয়। পরবর্তী পর্যায়কে বলা হয় পিরিয়ডোন্টিটিস। এই ক্ষেত্রে দাঁতে যন্ত্রণা রোগীর নিত্যসঙ্গী। এই পর্যায়ে যেসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে-

১. ব্রাশের সময় মাড়ি থেকে রক্ত পড়া।

২. মাড়ি লাল হওয়া বা ফুলে যাওয়া।

৩. দাঁত থেকে মাড়ি আলাদা হয়ে যাওয়া।

৪. অব্যাহতভাবে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।

৫. দাঁত ও মাড়ি থেকে পুঁজ বের হওয়া।

৬. দাঁত পড়ে যাওয়া।

এই ধরনের সমস্যায় ডাক্তাররা সাধরাণত দাঁতের এক্স-রে করার কথা বলেন। দাঁত পরিষ্কার করিয়ে স্কেলিং করা হয়ে থাকে। তবে মনে রাখুন স্বাস্থ্যকর দাঁতের জন্য দরকার নিয়মিত ও সঠিকভাবে ব্রাশ করা।

সহজেই এই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন-

১. দিনে দুইবার ব্রাশ করুন। নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্রাশ পরিবর্তন করুন।

২. খাওয়ার শেষে মুখ থেকে খাবারের কণা পরিষ্কার করুন।

৩. নিয়মিত এন্টি-প্লেক টুথপেস্ট ও মাউথ রিনজ ব্যবহার করুন।

৪. নিয়মিত দাঁত ডাক্তারের কাছে যান।

(দিরিপোর্ট/ডব্লিউএস/ এমডি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)