আমানউল্লাহ আমান, দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য দিরিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির মহাসচিব পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতে মীমাংসায় আসতে পারলেই- আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তা ছাড়া আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা আপাতত নেই। দুই নেতার বৈঠক নিয়ে লুকোচুরির এটাই একমাত্র কারণ।

শনিবার দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই মেরুর অবস্থানেই আলোচনা করেন এই দুই নেতা। তবে শিগগিরই আবারও বসতে যাচ্ছেন এ দুই নেতা।

ওই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের পদ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি প্রহরা বন্ধ ও গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি জানিয়েছেন আলোচনা হবে সংবিধান অনুযায়ী। আলোচনায় বসার আগে এজেন্ডা নির্ধারণ করা হলে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না।

রবিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে সৈয়দ আশরাফ। এ সময় তিনি বিএনপির দেওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। অগ্রগতি সম্পর্কে আশরাফকে এখনো কোনো দিক-নির্দেশনা দেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে খুব শিগগিরই আরও বৈঠক হবে এই দুই নেতার মধ্যে। দলের একাধিক নীতি-নির্ধারণী নেতা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রবিবার সচিবালয়ে বলেছেন, ‘বৈঠক হয়েছে, বৈঠক আরও হবে।’

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবারের দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়। সর্বদলীয় সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সৈয়দ আশরাফ। বৈঠকে সৈয়দ আশরাফ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দাবি-দাওয়া মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত আশরাফ তাকে জানাননি।

(দিরিপোর্ট/এইউএ/আইজেকে/নভেম্বর ২৫, ২০১৩)