চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চরমে, বন্ধ হচ্ছে শিল্প-কারখানা
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র।সংকটে পড়ে কয়েকশ শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় রান্নার চুলা বন্ধ থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। সরকারি-বেসরকারি দুটি সার কারখানা চালু ও সাংগু গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।
সংকট কাটাতে শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ সপ্তাহে দুদিন পুরোপুরি ও বাকি পাঁচ দিন ১২ ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুব আলী।
চট্টগ্রাম চেম্বার হাউসে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে চেম্বার সভাপতি বলেন, চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট, সরবরাহ করা হচ্ছে ২০০-২২০ মিলিয়ন ঘনফুট। তাই গ্যাস ও গ্যাস সংযোগের অভাবে রফতানিমুখী পোশাক খাত, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আবাসন, স্টিল ও রি-রোলিং মিলসহ সব শিল্পে উৎপাদন মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থা অচিরেই ভেঙে পড়বে। এ সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, সপ্তাহে পাঁচদিন ১২ ঘণ্টা করে শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি কিছুটা শিথিল ছিল, এখন এটি কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমিয়ে তিতাস থেকে কিছু গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গ্যাস সংকট কিছুটা হলেও কমবে।
এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে আবাসিক গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
মোমিন রোড়ের গৃহিণী আইরুন আক্তার দিরিপোর্টাকে বলেন, গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না। সকালে বাচ্চারা না খেয়ে স্কুলে যাচ্ছে।
(দিরিপোর্ট/কেএইচ/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০১৩)