মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব জানতে মহাশূন্যে জেলিফিশের বংশবৃদ্ধি

নাসা এসএলএস-ওয়ান (স্পেসল্যাব লাইফ সায়েন্স) মিশনের আওতায় এই গবেষণা শুরু করে ১৯৯১ সালে। সে সময় নেওয়া জেলিফিশ পলিপগুলোকে কৃত্রিম সমুদ্রজলে রাখা হয়। সেখানে নভোচারীরা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক যোগ করেন যেন এগুলো মুক্তভাবে সাঁতার কাটতে পারে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো জেলিফিশের উপর সীমিত মাধ্যাকর্ষণ বা মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা। একই সঙ্গে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে কি না তার পরীক্ষা। তবে মূল লক্ষ্য হলো, এই জেলিফিশগুলোকে পুনরায় মধ্যাকর্ষণে ফিরিয়ে আনলে কি প্রতিক্রিয়া ঘটে তা দেখা। জেলিফিশের সঙ্গে মানুষের বহুক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে জেলিফিশের মিল রয়েছে। সেটি হলো মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বেড়ে যাওয়ায় পানিতে সাঁতার কাটতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় জেলিফিশগুলো। তাদের মধ্যাকর্ষণ সেন্সর পুরোপুরি উন্নীত হয়নি। ফলে, মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে বড় হওয়ার পর পৃথিবীতে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না জেলিফিশগুলো।
একই ধরনের মাধ্যাকর্ষণ সেন্সর মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতে নাসার বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণশূন্য অবস্থায় বংশবৃদ্ধি করলে একই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে পারে ভবিষ্যত মানুষ।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/ডব্লিউএস/জেএম/অক্টোবর ২০, ২০১৩)