কবি আবুল হাসান
দিরিপোর্ট ডেস্ক : কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসানের মৃত্যুদিন ২৬ নভেম্বর।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে- রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২), যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪) ও পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)৷
আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ৪ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার বর্নি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। পিতা আলতাফ হোসেন মিয়া ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। কবি আবুল হাসানের ডাকনাম টুকু।
আবুল হাসান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি পাশ করেন। তারপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বিএ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ-এ (১৯৭৩-৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ এ তার লেখা শিকারি কবিতাটি সমগ্র এশিয়াভিত্তিক এক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। পরে এই কবিতাটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত সমগ্র পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বশীল কবিদের কবিতা-সঙ্কলনে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৭০) শীর্ষক ওই গ্রন্থে তদানীন্তন পাকিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি আবুল হাসানের কবিতা স্থান পায়।
১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি ঢাকার পিজি হাসপাতলে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার লেখা কাব্যনাট্য ওরা কয়েকজন (১৯৮৮) ও আবুল হাসান গল্প সংগ্রহ (১৯৯০) প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতার জন্য মরণোত্তর 'বাংলা একাডেমী পুরস্কার' (১৯৭৫) এবং বাংলাদেশ সরকারের 'একুশে পদক' (১৯৮২) লাভ করেন।
(দিরিপোর্ট/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ২৬, ২০১৩)