সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : দেশব্যাপী ১৮ দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিনে মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। এসব ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।

সকালে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সেখানে ১০ রাউন্ড শটগানের গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে জামায়াত-শিবিরের ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জামায়াত দাবি করেছে। সেখান থেকে পুলিশ আব্দুল হাকিম নামের এক জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে।

এদিকে কদমতলা এলাকায় জামায়াত-শিবিরকে হটাতে পুলিশ ৯৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। সেখানে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ সেখান থেকে ৪ জনকে আটক করেছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার কদমতলা থেকে ঝাউডাঙ্গা পর্যন্ত সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, কাঠের গুঁড়ি, পিকেটিং করে সড়ক অবরোধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ১৮ দল। কদমতলা বাজারে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর রফিকুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি নুরুল হুদা প্রমুখ।

এছাড়া শহরের অদূরে বাঁকাল, রামচন্দ্রপুর, বিনেরপোতা, পাটকেলঘাটা, তালা, দেবহাটার গাজিরহাট, পারুলিয়া, ভোমরা স্থল বন্দর সড়কের বাদামতলায় সড়কসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেছে ১৮ দল। এদিকে নাশকতা এড়াতে সোমবার রাত থেকে সাতক্ষীরায় পুলিশের পাশাপশি, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ৪০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

(দিরিপোর্ট/এমআরইউ/এপি/জেএম/নভেম্বর ২৬, ২০১৩)