সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জে অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে শহরের জগাইমোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহত সাকমান হোসেন (২৭) সদর উপজেলার মাছুয়াকান্দি গ্রামের সমেদ আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সকালে একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি স্বপন মির্জার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে অবরোধকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অবরোধকারীরা জগাইমোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অবরোধকারীরা পুলিশের ওপর চাড়ও হলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষের সময় একটি টিয়ারশেল সাকমান হোসেনের শরীরে লাগে। তিনি পাশের পুকুরে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষস্থল থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নূর কায়েম সবুজকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া ভোরে শহরের মালসাপাড়া এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন ও একটি মিনি ট্রাক ভাঙচুর করেছে অবরোধকারীরা। অপরদিকে রেলগেট এলকায় রাস্তার গাছ কেটে অবরোধ করা হয়।

অপরদিকে সকাল থেকেই খোকশাবাড়ি, বহুলী, চণ্ডীদাশগাঁতী, নলকা, বাঐতারা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা।

এদিকে তফসিল ঘোষণার পর পর সোমবার রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী বাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট ভাঙচুর করে।

শহরের নবদ্বীপপুল এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের পর পুলিশ সেখানে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নাশকতা এড়াতে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন এবং মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে।

(দিরিপোর্ট/আরকে/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৩)