নির্বিচারে চলছে ইলিশ নিধন
মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র। দিনে মাইকিংসহ কিছুটা টহল থাকলেও সন্ধ্যার পর হাজার হাজার ছোট-বড় ট্রলার ও নৌকা নিয়ে চলছে ইলিশ শিকারের মহোৎসব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগতি ও আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদীতে হাজার হাজার জেলে গভীর রাতে কারেন্ট ও সাইনজালসহ শিকার করছে ডিমওয়ালা ইলিশ।
বাজার দরের চেয়ে অনেক কম মূল্যে জেলেরা মাছ বিক্রি করছে আড়তদার, পাইকারসহ সাধারণ ক্রেতার কাছে। আড়তদাররা অল্প টাকায় মাছ কিনে শত শত মণ মজুদ করছে।
জেলে আবু তাহের ও মফিজ মিয়া জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় সাধারণ জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে সাহস পান না। ক্ষমতাসীন দল-সমর্থিত প্রভাবশালী ইঞ্জিন নৌকার মালিক, মাছের আড়তদাররা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গতবছর নদীতে অবাধে ইলিশ ধরেছিল। এবারো ওই সব প্রভাবশালী জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, মেঘনায় অভিযানের জন্য সরকারি কোনো স্পিডবোট নেই। প্রশাসনকে ভাড়া করা ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে মেঘনায় অভিযান চালাতে হয়।
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা ইনস্টিউট সূত্রে জানা গেছে, ডিম ছাড়ার আগে ইলিশ মাছ দুর্বল থাকে। এ সময় নদীতে জাল ফেললেই আটকা পড়ে ইলিশ। অন্য সময় এভাবে মাছ আটকা পড়ে না।
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘প্রজনন সময়ে ইলিশ রক্ষার জন্য আমরা যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তারপরও গোপনে কেউ মাছ শিকার করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশাল এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ড টহল দিচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, ১৭টি বরফকলের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে ইলিশ ধরা রোধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড এবং জরিমানা করেছে।
(দিরিপোর্ট২৪/এমএইচ/এএস/এমডি/অক্টোবর ২০, ২০১৩)