থাইল্যান্ডে কয়েকটি মন্ত্রণালয় বিক্ষোভকারীদের দখলে
দিরিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধামমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশটির কয়েকটি মন্ত্রণালয় দখল করে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
তারা মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র, কৃষি, যোগাযোগ এবং ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে রাখে। এর আগে, দেশটির অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দখল করে রাখে তারা।
দেশটির পর্যটক ও ক্রীড়া মন্ত্রী সমসাক পুরেস্রিসাক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তারা পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে। তাই আমরা মন্ত্রণালয় ছেড়ে যাচ্ছি।’
দেশটির কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হয়েছে।
তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রণালয় ত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রবিবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয। বিতর্কিত অ্যামনেস্টি বিল নিয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই অ্যামনেস্টি বিল অনুয়ায়ী দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করতে হবে না।
ওই বিলটি থাই সিনেটে পাশ না হলেও প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।
সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। ৯০ জনেরও বেশি মানুষ দুই মাসব্যাপী চলা বিক্ষোভে নিহত হয়।
থাকসিনের বোন ইংলাক ক্ষমতায় আসার পর দেশটির রাজনীতিতে স্থিরতা আসে। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ ইংলাক তার ভাইয়ের পুতুল হয়ে দেশ চালাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, এএফপি
(দিরিপোর্ট/কেএন/এইচএসএম/নভেম্বর ২৬, ২০১৩)