কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা চৌমুহনী এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে রিপন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মারা যান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণে সোমবার রাতে নিহত ছাত্রদল কর্মী দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ি চর্থা নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে ধাওয়া করে পিকআপভ্যানে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষ চলাকালে বিকেল ৫টার দিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বিজিবি সদস্য রিপন। এছাড়া দফায় দফায় সংঘর্ষে ৬ পুলিশ ও ৩ সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।

আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কুমিল্লা ১০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের সদস্য।

কুমেক পরিচালক ডা. সোহলে রিপনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনাস্থলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী,বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহরিয়ার, কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ, তদন্ত সামসুজ্জামানসহ পুলিশ-র‌্যাব- বিজিবি পরিদর্শন করেছেন।

সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

(দিরিপোর্ট/এমএইচ/এনডিএস/নভেম্বর ২৬,২০১৩)