সিলেট সংবাদদাতা : আপাতত শান্ত হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। মঙ্গলবার রাতে ভিসির আশ্বাসে কিছুটা নমনীয় হয়েছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনুসারী আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী। ভিসি তাদের জানান, বুধবার শাবিপ্রবি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহবান করা হয়েছে।

এ সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তাই আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে নমনীয় হলেন তারা। যদি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়, তাহলে ড. জাফর ইকবাল তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন- এমনই বিশ্বাস তার অনুসারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। আশংকা করা হচ্ছে এমনটি না ঘটলে ফের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।

মঙ্গলবার বেলা ২টায় শাবিপ্রবি ও যবিপ্রবি’র সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় পদত্যাগ করেন কম্পিউটার ন্সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জাফর ইকবাল। এর রেশ ধরেই ক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষোভের দানা ছড়িয়ে পড়ে অনুসারী শিক্ষকদের মাঝেও। এরপর পদত্যাগ করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে ভিসি ড. আমিনুল ইসলাম বুধবার সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকেছেন বলে জানান আন্দোলনকারীদের। এতে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করে। রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার সকাল ১০টা থেকে আবারও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে আন্দোলনকারীরা।

আরো জানা গেছে, বুধবারের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হবে। সভায় ৩০ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলেও কিছু দিন পর সমন্বিত পরীক্ষা কিভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সে সব বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায় জানান, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ৪০-৫০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করবেন। যে কোনো সময়ে শিক্ষকেরা তাদের পদত্যাগপত্র প্রশাসনের কাছে জমা দিতে পারেন বলেও দাবি করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমজেসি/ডব্লিউএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)