দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এসিডিটি একটি সাধারণ সমস্যা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশির ভাগ লোকই এই সমস্যায় ভোগেন। পাকস্থলির গ্যাস্টিক গ্লান্ডে অতিরিক্ত এসিডের ক্ষরণই এই রোগের কারণ। এর পেছনে রয়েছে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়ামের অভাব, নিয়মিত মদ্যপান, দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার। এই সমস্যায় আপনি নিয়মিত এন্টাসিড জাতীয় ঔষুধ খেয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও বেছে নিতে পারেন-

পানি: ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি পান করুন। ভালো হয় একই কাজ যদি সকালে একদম খালি পেটে করেন। কখনোই খাবারের পরপর পানি পান করবেন না। এটি হজমে সমস্যা করে।

দুধ: দুধে আছে ক্যালসিয়াম। যা পাকস্থলিতে এসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। গরম দুধের চেয়ে ঠাণ্ডা দুধ এর জন্য উপকারি। খাবার গ্রহণের পর যদি এসিডিটির সমস্যা হয় তবে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খেয়ে নিন।

ঘৃত কুমারীর রস: এটি পাকস্থলির সকল ধরনের সমস্যায় ভালো প্রতিষেধক। এক আউন্স ঘৃত কুমারীর রস দুই আউন্স পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।

তুলসি পাতা: তুলসি পাতা এসিডিটিতে দিতে পারে দারুণ আরাম। এই সমস্যায় ভুগলে কয়েকটি তুলসি পাতা খেয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে ৫/৬টি তুলসি পাতা এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে পানি খেতে পারেন।

আদা: আদার রস পাকস্থলিকে এসিডমুক্ত করে। যখনই এসিডিটিতে কষ্ট পাবেন একটু টুকরো আদা নিন এবং চিবুতে থাকুন।

তালের গুড়: এতে প্রচুর পটাসিয়াম আছে। যা পাকস্থলির এসিডে ভারসাম্য আনতে সাহায্য। এসিডিটির সমস্যায় পড়লেই গুড় খান।

ঘোল: ঘোলের সাথে গোল মরিচ গুড়া মিশিয়ে খান, এসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন।

এছাড়া আরো যা করতে পারেন-

১. কফিকে না বলুন, হারবাল চা পান করুন।

২. প্রতিদিন হালকা গরম পানি পান করুন।

৩. আপনার ডায়েটে কলা, শসা ও তরমুজ যোগ করুন।

৪. নিয়মিত বিরতিতে খাবার খান। বেশি নয় তবে কম করে কয়েকবার খান।

৫. আচার ও মশলাকে না বলুন।

৬. মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)