দিরিপোর্ট ডেস্ক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত আনোয়ারা বেগম আনু (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বুধবার ভোর ৪টার দিকে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে খিলাগাঁও তিলপাপাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল দুই অফিসের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে একটি সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

তার মেয়ে নাসিমা আক্তার জানান, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা মালিবাগ শাখা ন্যাশনাল ব্যাংকের বাবুর্চি হিসেবে চাকরি নেন। থাকতেন দক্ষিণ গোড়ান শান্তিপুরের ২৮৯ নাম্বার বাসায়। মঙ্গলবার তিনি অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ারা বেগমের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট সদরের কোটাপাড়ায়। তার স্বামীর নাম মৃত দেলোয়ার হোসেন।

সাতক্ষীরা : জেলার কলারোয়া উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শিবিরকর্মীরা। তিনি দেয়াড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় একই ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাবুকে পিটিয়ে হত্যা করে শিবিরকর্মীরা। তিনি সলিমপুর গ্রামের গোলাম রহমান মোড়লের ছেলে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী ও সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কলারোয়া থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

বগুড়া : বগুড়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবদলকর্মীর নাম ইউসুফ আলী (২৩)। তিনি জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ঢাকুনতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা ১৮ দলের সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত ইউসুফ যুবদলকর্মী।

বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন।

কুমিল্লা : কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা চৌমুহনী এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে রিপন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মারা যান তিনি। তিনি কুমিল্লা ১০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের সদস্য।

কুমেক পরিচালক ডা. সোহলে রিপনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ : মঙ্গলবার সকালে শহরের জগাইমোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তার নাম সাকমান হোসেন (২৭)। তিনি সদর উপজেলার মাছুয়াকান্দি গ্রামের সমেদ আলীর ছেলে।তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

(দিরিপোর্ট/এসবি/জেএম/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)