ডিসিসিতে নতুন প্রশাসক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদারকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলমগীরকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত ২৪ নভেম্বরের একটি আদেশ মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং মো. নজমুল ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলাদা আদেশে আখতার হোসেনকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ও নজমুলকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনে প্রশাসক হিসেবে ১৮০ দিনের বেশি কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করতে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনের সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ওই বছরের ১৭ অক্টোবর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
প্রথমবারের মতো ২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনে দুই অতিরিক্ত সচিবকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। খোরশেদ আলম উত্তর ও খলিলুর রহমান দক্ষিণের দায়িত্ব পান।
সিটি করপোরেশন বিভক্ত করা সংক্রান্ত আইনে প্রথমে প্রশাসকদের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। এই সময়ের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে নির্বাচন করতে পারেনি তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তাই সরকার আইন সংশোধন করে আরও ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করে। তফসিল ঘোষণার পর একজন আইনজীবী উচ্চ আদালতে রিট করলে আদালত নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করেন।
সর্বশেষ গত বছরের ৯ এপ্রিল ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই বছরের ২৪ মে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। সীমানা নির্ধারণসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনের কয়েকটি ধারা মানা হয়নি- এই অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করা হলে নির্বাচন স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১৩ মে এই রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়। তবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আবারো ঝুলে যায়।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/ডব্লিউএস/জেএম/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)