রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীতে বুধবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ পুলিশসহ অর্ধশত আহত হয়। বোমার আঘাতে আহত চার পুলিশ সদস্যকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা অবরোধ ও স্থানীয়ভাবে বিএনপির ডাকে আধাবেলা হরতালের সমর্থনে সকাল ৭টার দিকে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে মিছিল বের করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। মিছিল নিয়ে তারা রাজশাহী কলেজের সামনে রাস্তায় সমাবেশ করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা রাজশাহী কলেজ চত্বরে প্রবেশ করে সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্ করে হাত বোমাসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘ছাত্রশিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ১০/১২টি বোমা চার্জ করেছে। বোমার আঘাতে ১০ পুলিশ আহত হয়। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল আব্দুল হামিদ, আজম আলী ও তৌহিদ হোসেনসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবির কর্মীরা সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ৬/৭টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে একটি অবিস্ফোরিত হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে ওসি জানান।’

বিএনপির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার সময় পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আইজেকে/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)