পিলখানা হত্যা মামলার রায় ৩০ অক্টোবর
সাক্ষ্য ও সাফাইসাক্ষ্য শেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। পরেনয় কার্যদিবসে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
পিলখানায় হত্যা মামলায় আসামির সংখ্যা ৮৪৭ জন। এর মধ্যে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওসাবেক বিডিআর সদস্য তোরাব আলীও রয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শেষ দিনে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। আদালত উভয়পক্ষকেই ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন।
অস্থায়ী এ আদালতে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি বিচার কার্যক্রম শুরু করেন বিচারক জহুরুল হক। বর্তমানে তার স্থলে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিচারকাজ সম্পন্ন করেন। একই বছর ২৪ আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ শুরু হয়।
মন্ত্রী, সংসদসদস্য, সাবেক ও বর্তমান সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশের সাবেক ও বর্তমান আইজি, বেসামরিক ব্যক্তিসহ এ মামলার এক হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৬৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে জবানবন্দি গ্রহণ শেষ করা হয়।
বিডিআর হত্যাযজ্ঞ ঘটনায় প্রথমে লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা স্থানান্তরিত হয় নিউমার্কেট থানায়।
সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি একই আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দুটিতে ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। বিচার কার্যক্রম চলার সময়ে ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন।
বিদ্রোহের বিচার বিডিআর আদালতে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার চলে প্রচলিত আইনে।
রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের পর বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ২১, ২০১৩)