নির্বাচন ঠেকাতে কোর্টে যাবেন ড. কামাল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একদলীয় নির্বাচন ঠেকাতে কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘আলোচনার কথা বলে হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। ইলেকশন আমরা চাই তবে ভালো ইলেকশন চাই।নিরপেক্ষ নির্বাচন বাঙালিদের বোঝাতে হবে না। এ অবস্থার সুরাহা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেব। কোর্টে যাব।’
বেইলি রোডের বাসভবনে বুধবার বিকেলে গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এ ঘোষণা দেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার ও বিরোধী দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরাও তৃতীয় শক্তির উত্থানের আশঙ্কা করছি। তবে তা যাতে না হয়, জনগণের ক্ষমতা যাতে জনগণের কাছে থাকে আমাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
তিনি বলেন,‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানমন্ত্রীর একক ইচ্ছায় বাতিল করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটি ছিল। কমিটির একজন সদস্যও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সুপারিশ করেননি। শুধু প্রধানমন্ত্রীর একক ইচ্ছায় এ বিধান বাতিল করা হয়েছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তত্ত্বাবধায়ক নামে হোক আর নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা নামে হোক এ বিধান রাখতে হবে।’
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম এ প্রণেতা বলেন, ‘আম্পায়ার ও খেলোয়ার যদি এক হয় তাহলে অন্যদল তো দূরের কথা দর্শকই মাঠে যাবে না। তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কী করে? প্রধানমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করুন। আপনি পদত্যাগ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘৪২ বছর ধরে আমরা অপেক্ষায় আছি। এবার জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে নিতে হবে। আমাদের গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শফিউল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/নভেম্বর ২৭,২০১৩)