ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত মুশফিক অধিনায়ক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করবেন মুশফিকুর রহিম। বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিসিবি সভাপতি পাপন জানিয়েছেন, ‘জরুরী সভা হয়েছে। সেই সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত মুশফিককেই অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
যে ক্রিকেটারই দলের নেতৃত্বে আসেন; তারই একটি আক্ষেপ থাকে দীর্ঘমেয়াদ নিয়ে। অবশেষে মুশফিককে দীর্ঘমেয়াদেই অধিনায়ক করা হয়েছে। গত মে মাসে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে অধিনায়ক মুশফিকের চুক্তিসীমা শেষে হয়েছিল। সেই আপেক্ষ আর মুশফিকের থাকছে না।
জিম্বাবুয়ে সফরের আগে আবেগাপ্লুত মুশফিক অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিপাকে ফেলেছিলেন বিসিবিকে। অবশ্য সফরটি ছিল তার চুক্তির অধিনায়ক হিসেবে শেষ সফরও। আচানক ঘটনা বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। পরে অনেক বলে-কয়ে বিসিবি তাকে ফের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়েছিল। তখন হয়েছিল নতুন মেয়াদে চুক্তিও; যা শেষ হতো ৩১ ডিসেম্বর। সেই চুক্তির মেয়াদ বুধবার বিসিবির সভায় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। মুশফিক এখন ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
নতুন মেয়াদে অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন মুশফিক। ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলতে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত মার্চ-এপ্রিলে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন মুশফিক।
৮ বছর আগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ২০০৫ সালে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছেন মুশফিক। পরের বছরই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে তার। ২০০৯ সালে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০১১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের দ্বাদশ অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার নেতৃত্বে ১২ টেস্টে বাংলোদেশ দল ৪টি ড্র ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র জয়ের পাশাপাশি ৭ ম্যাচে হেরেছে। ঘটনাবহুল গল টেস্টে বাংলাদেশ ড্র করেছিল। ওই টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৫৭০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৩৮ রানে মুশফিক নিজে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছিলেন। আর ওয়ানডের ২৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১টিতে জয় এনে দিয়েছেন মুশফিক। তার নেতৃত্বে দল ২০১২ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো রানার্সআপ হয়েছে।
সর্বশেষ মুশফিকের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজে দারণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ২ টেস্ট ড্র করার পর টোয়েন্টি২০ হারলেও ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এমন দারুণ সাফল্যে অভিভূত বিসিবি। সেই কারণেই তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে-তার ইচ্ছে অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক করে।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ২৭,২০১৩)