দ্য রিপোর্ট : মুচলেকা দিয়ে হরতাল ঘোষণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির’ বৈঠক শেষে বুধবার সন্ধ্যায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবরোধ এবং হরতাল এগুলো এখন আর প্রতিবাদের ভাষা নয়, এগুলো সন্ত্রাসের ভাষা। আগামীতে যে সরকারই আসুক এগুলো একেবারে নিষিদ্ধ করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমি তো হরতাল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেবো। নতুবা যারা হরতাল ঘোষণা করবেন তাদের এ মুচলেকা দিতে হবে যে, হরতালে কোনো হত্যা হবে না, ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর কথা থাকলে ওই সময়েই শুরু হবে, আগের দিন রাতে শুরু হবে না। সাচ কন্ডিশন্স ক্যান স্টেবল ইট।’

আপনারা বিরোধী দলে এলে হরতাল-অবরোধ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সহিংস হরতাল হলে তা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। হরতাল হতে হবে শান্তিপূর্ণ।’

সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যকার সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে যে আলোচনা চলছে সেটা রিয়েলি সিক্রেট। আমরাও এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। সুতরাং এ ব্যাপারে মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই।’

মহাসচিব পর্যায়ের এ আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক কিছু হবে কি না কিংবা কতদিন লাগতে পারে- এসব প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অর্থমন্ত্রী।

বিএনপি নির্বাচনে এলে আবার নির্বচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এটা তাদের এখতিয়ার।’

বুধবারের ক্রয় কমিটির বৈঠকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ১ লাখ টন করে ২ লাখ টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির দুইটি প্রস্তাবসহ চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাকি দুইটি হচ্ছে- পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ (পিপিআরপি-২) শীর্ষক দ্বিতীয় সংশোধিত কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট : প্রকিউরমেন্ট ট্রেনিং অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনালাইজেশন’ সেবা গ্রহণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একক উৎস ভিত্তিতে ক্রয় চুক্তি অনুমোদন এবং একই প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত ‘ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক মূল চুক্তির (কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ নম্বর এস-২) দ্বিতীয় ভেরিয়েশনসহ সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন।

ক্রয় কমিটির বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আসলে রুটিন ওয়ার্ক। কিছু কিছু বিষয় আছে যেমন সার, জ্বালানি তেল এগুলোর ক্রয় প্রক্রিয়া থেমে থাকলে সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো এবং চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অভিন্ন বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই হবে। আইনগত কোনো সমস্যা হবে না। আমি একটু পরেই এ বিষয়টি জানতে পারবো।’

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/নভেম্বর ২৭,২০১৩)