সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য মিথ্যা ও দুর্ভাগ্যজনক : এরশাদ
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি অতীতেও বলেছে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। এখনও বলছি, আমরা আগামীতে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেব। সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশ নেবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না।’
সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সর্বদলীয় সরকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সর্বদলীয় সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির সঙ্গেও কথা বলবেন।
রবিবার জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৈঠক সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য পরিবেশন করেছেন তাতে আমি স্তম্ভিত হয়েছি। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও দুর্ভাগ্যজনক। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জাতীয় পার্টিকে জাতির কাছে ছোট করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আলোচনার শুরুতেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব উত্থাপন এবং তার পরের দিনই সব ধরনের সভা-সমাবেশ এমনকি ঘরোয়া সভার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি একটি পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত, যা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অস্পষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান কে হবেন সেটাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয়। এ বিষয়টি স্পষ্ট করা না হলে রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান হবে না। আমরা এই কথাও উত্থাপন করেছি যে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানে যেকোনো সিদ্ধান্তে লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড সৃষ্টি হবে না। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া সেই নির্বাচন জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল।’
মহাজোট ত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, মহাজোট ত্যাগ কিংবা মহাজোটে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ সেটা আমাদের দলের একান্ত নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। মহাজোট ত্যাগ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ইতিপূর্বে আমাদের দলে গৃহীত হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে। আমি খুব শিগগিরই সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের, কাজী জাফর আহমেদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪/এএম/এএস/জেএম/অক্টোবর ২১, ২০১৩)