সিলেট সংবাদদাতা : জেলায় পৃথক পৃথক ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক শিবলীসহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২২ জন আহত হন। অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৯টায় আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ইটের আঘাতে ১০ যাত্রী আহত হন।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মিছিল বের করে শিবিরকর্মীরা। মিছিল থেকে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছোড়ে তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষে ওসি শিবলী, কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিন, মামুন মিয়া, সুকুম উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হন।

অন্যদিকে, আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে আসে।

পারাইরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র কয়েকজন দুর্বৃত্ত ট্রেনটি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত যাত্রীদের ট্রেনের মধ্যেই প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অবরোধকারীরা দক্ষিণ সুরমা রেলস্টেশনের কাছে রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। তারা রেলের সিগন্যাল বক্সে আগুন দেয়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমজেসি/এমএইচও/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)