দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। মিছিল থেকে তারা গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু সাঈদ ঢাকা ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ১০ থেকে ১২ গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ছাত্রদলের মিছিলে আরও অংশ নেন- কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, সহ-সম্পাদক ইখতিয়ার কবির, সমাজ সেবা সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মী ।

ছাত্রদলের এ মিছিল চলাকালে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এ সময় দুই সংগঠনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ছাত্রদলের কর্মী রওশনকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারধর শেষে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।’

ছাত্রদলের ভাঙচুরের প্রতিবাদের পর রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্রলীগ তাৎক্ষণিক মিছিল বের করে। তারা মিছিল নিয়ে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে দিয়ে আবার শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে অবরোধের পক্ষে মহানগর উত্তর ছাত্রদল রাত আটটার দিকে বিক্ষোভ মিছির বের করে। মহাখালী সরকারী তিতুমীর কলেজ হোস্টেলের সামনে তারা রাস্তা ব্যারিকেট দেয়। এ সময় রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মিছিল থেকে প্রায় ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

ছাত্রদল উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফ উদ্দিন জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্র নেতা হিমেল হক, মেহেদীসহ প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন।

এদিকে সন্ধ্যার পর দুই দফার নয়াপল্টনে মিছিল বের করে অবরোধকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি করে।

(দ্য রিপোর্ট /টিএস/এমএইচ/এনডিএস/নভেম্বর ২৭,২০১৩)