দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়েছে।

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মাহবুবুন নাহার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় এ মামলাটি করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ দ্য রিপোর্টকে জানান, ইন্টারনেটে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

২০ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত গণিত, ইংরেজি ও বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ফেসবুকসহ ইন্টারনেটেও পাওয়া গেলে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আশারাফুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ কর্ম দিবস বেধে দেওয়া হয়।

এস এম আশরাফুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ফেসবুকের মাধ্যমেও প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে। যে ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে এটি করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে মামলা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত কাজ চলছে। অবরোধের কারণে তারা গত দুইদিন ঢাকার বাইরে যেতে পারেননি বলেও জানান তিনি।

২৫ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০ নভেম্বর প্র্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। এবার ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৬ জন এবং ইবতেদায়ীতে তিন লাখ ১৪ হাজার ৭৮৭ জন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এসবি/নভেম্বর ২৮, ২০১৩)