সিলেট সংবাদদাতা : সিলেটে পৃথক পৃথক স্থানে বৃহস্পতিবার বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপি নেতা ও ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৪৪ জন আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম। তাকে নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অবরোধের সমর্থনে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকার পাশ দিয়ে মিছিল করে বিএনপি-জামায়াত। এ সময় মিছিলের পেছন থেকে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ ওই সব আগুন নেভাতে থাকলে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ১৫টি মোটর সাইকেল জব্দ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫২ রাউন্ড শটগানের গুলি, ১৬টি টিয়ার সেল, ২টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ অবরোধকারী একজনকে আটক করে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জেলার বিয়ানীবাজারে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।

মিছিলে বাধা দেওয়ায় বিয়ানীবাজার পৌর শহরে বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলার পাশাপাশি ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক ও জনতা ব্যংক ছাড়াও অন্তত ১০টি দোকানে ভাঙ্চুর করেছে।

এ ব্যাপারে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আয়ূব দিরিপোর্টকে বলেন, ‘অবরোধকারীরা হুমায়ূন রশীদ স্কয়ারে জড়ো হয়ে ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫২ রাউন্ড শটগানের গুলি, ১৬টি টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। অবরোধকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।’

(দ্য রিপোর্ট/আইজেকে/নভেম্বর ২৮, ২০১৩)