দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ বাসযাত্রী নাহিদ মোড়ল (১৭) মারা গেছেন।

রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আগুনে নাহিদের শরীরের ৫৩ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

নাহিদ মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোড়লকান্দি গ্রামের সোহরাওয়ার্দি মোড়লের ছেলে। সে মোড়লকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।

নাহিদের বড় ভাই রুবেল মোড়ল জানান, বৃহস্পতিবার নাহিদ তার বন্ধু আবুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে দুপুর ২টার দিকে শিবচর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যার দিকে বাসে করে শাহবাগে এসে পৌঁছলে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তার শরীর পুড়ে যায়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহেদ জানান, নাহিদের ইনহিলিশন বার্ন ছিল। ফলে তার ভিতরের সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

আহত বাকিদের মধ্যে কেউই আশঙ্কামুক্ত নয় বলেও তিনি জানান।

এর আগে শাহবাগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হন বিহঙ্গ পরিবহনের ১৮ যাত্রী। এতে নাহিদ ছাড়াও অগ্নিদগ্ধ হন- আর্মড পুলিশের এএসআই মো. নুরুন নবী (৪৫), কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (৪০), ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক বংশাল শাখার অফিসার শফিকুল ইসলাম (৩৭), ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ওহিদুর রহমান বাবু (২০), সেনিটারি ব্যবসায়ী আবু তালহা (৪০), বিহঙ্গ গাড়ির চালক মাহবুব আলম (৩৫), শরিয়তপুর গুসাইহাট ইউপির কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন মৃধা (৪০), শ্যামপু্র গার্মেন্টসকর্মী মো. রবিন (২২), বিহঙ্গ পরিবহনের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম (২২), কাশ্মীর ফ্যান কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটর রাহাজুল ইসলাম (২৩), দোকান কর্মচারী মো. শামীম হোসেন (২৭), মো. রিয়াদ (২২), গীতা সেন (৪২) ও মেয়ে একুশে টিভির মুক্তখবরের রিপোর্টার সুস্মিতা সেন (১৮), মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোছাম্মাত মাসুদা (৩০), রূপালি ব্যাংক শ্যামপুর শাখার জুনিয়র অফিসার শরিফুল ইসলাম (৩৭), যশোর জজ কোর্টের আইনজীবী খোদেজা নাসরীন (৪২)।

অগ্নিদগ্ধ সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এআইএম/জেএম/নভেম্বর ২৮, ২০১৩)