রাজশাহীতে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খয়রার বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আশরাফুল ইসলাম (২৮) নামে এক জেলে নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় খয়রা বিল সংলগ্ন শ্রীপুর গ্রামের খামারপাড়ার জাবেদ আলীর ছেলে।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই উত্তম কুমার জানান, আশরাফুল বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় খয়রার বিলে মাছ ধরতে জাল পাতেন আশরাফুল ইসলামসহ কয়েকজন জেলে। এসময় বিল দখলদারদের পাহারাদাররা তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করলে উভয়র পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে সংবাদ পেয়ে বিল দখলে নেওয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ এবং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ক্যাডাররা জেলেদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় ক্যাডাররা পর পর বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ ও পিস্তলের গুলি ছোড়ে। এতে আশরাফুল গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আরো অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আশরাফুল। বাঁকিদের বাগমারা থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ রাকেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আনম শামসুর রহমান মিন্টু জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। এ অবৈধভাবে বিল দখলে নেওয়া ঘটনায় শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি রইচ উদ্দিনও জড়িত বলে জানান তিনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচজে/জেএম/নভেম্বর ২৯, ২০১৩)