বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহ : জয়-ক্ষুধার জয়!
ব্রাজিলের ’হেক্সা মিশন’ (বিশ্বকাপ শিরোপা অভিযান) এর চাইতে বাজেভাবে শুরু হতে পারত না। ১২ জুন রাতে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার খেলা আরম্ভ হওয়ার প্রথম ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী এই দুই অনুভূতি মনের ভেতর কাজ করেছে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মার্সেলো নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফেলেন। আত্মঘাতী এই গোলে স্কোরলাইন দাঁড়িয়েছে; ব্রাজিল ০ : ১ ক্রোয়েশিয়া। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লে মানুষের যে চেহারা হওয়ার কথা, মার্সেলোকে ক্লোজ-আপে দেখে তার একটা ধারণা পাওয়া গেলো। গোলরক্ষক সিজার কাছে এসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মার্সেলোর মুখ ভরা অন্ধকার পুরো দলে, ডাগ-আউটে, এমনকি গ্যালারিতেও সংক্রমিত হলো। ব্যাপারটা দুঃস্বপ্নের মত; গায়ে চিমটি কেটে সত্যাসত্য পরীক্ষা করে নিতে হয়; এমন দুঃস্বপ্ন। সঙ্গে পুরোটা বছর জুড়ে দেশব্যাপী চলা অস্থিরতা। বিশ্বকাপ চাই না - চাই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহনের মতো জীবন যাপনের মৌলিক খাতগুলোতে অধিকতর বিনিয়োগ। ব্রাজিলের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি মানুষ নাকি এই দাবির সমর্থক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রথম খেলা যে শহরে, সেই সাও পাওলোতে তো খেলা শুরুর দু’দিন আগেও সাবওয়ে শ্রমিক ধর্মঘট হয়ে গেলো। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ এগুলোকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। আসছে অক্টোবরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার মনে হচ্ছে- বিশ্বকাপের আগে তাকে ও তার সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্যই বিরোধী দল এ সব করছে! আমরা যারা ভাবতাম হরতাল, ধর্মঘট, মিছিল, টিয়ার গ্যাস, লাটিচার্জ, সরকার ও বিরোধী দলের মারমুখী অবস্থান- এ সব একান্তই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি- তারা আসলে ভুল জানতাম। এগুলো অনেক আগেই দেশের সীমানা অতিক্রম করেছে- ব্রাজিল এবার তাই প্রমাণ করল।
ব্রাজিলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল অগ্নিগর্ভা। ’হেক্সা’ অভিযানের গতিপথ ঠিক থাকলেই কেবল আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব- একথা ব্রাজিল ফুটবলের বিখ্যাত সাবেকদের প্রায় সবাই বলেছেন- পেলে, জিকো, কাফু এমনকি বায়বীয় মেজাজের রোমারিওরা। প্রথম খেলায় দল হারলে সেই আগুনে ঘি’টা কেমন পড়তো- নেইমার, অস্কাররা বোধ হয় বুঝতে পেরেছিলেন। মাথা তাই ঠাণ্ডা রেখেছিলেন মাথার স্বার্থেই। নেইমারকে কেন ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপার স্বপ্ন-সারথি বলা হচ্ছে- তা বোঝাতে সময় নিলেন ১৮ মিনিট। দু’তিনজন ক্রোয়েট খেলোয়াড়ের ভেতর দিয়ে কোনো মতে একটা বল বের করে নেইমারের পায়ে তুলে দিয়েছিলেন অস্কার। এরপর সেই বল নিয়ে আরও জনা দু’য়েক প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে বড় ডি’র বাইরে থেকে নেইমার যে শটটা নিলেন- তাকে অবশ্যই খুব জোরালো শট বলা যাবে না, কিন্তু দুর্দান্ত প্লেসিং হওয়ার কারণে ক্রোয়াট গোলকিপার বোকা হয়ে গেলেন। তার ডাইভিং হাতের নিচ দিয়ে পোষ্টের ভেতরের দিকে লেগে বল জালে জড়ালো। সারাজীবন দেখে এসেছি ব্রাজিল দলের সঙ্গে গোলপোস্টের শত্রুতা। দুর্দান্ত সব শট ক্রসবার, সাইড বারে লেগে ফিরে ফিরে আসবে, ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে মাটিতে পড়লেও গোল লাইন অতিক্রম করবে না বা করলেও রেফারি সেটা দেখতে পাবেন না- এইতো আমার দেখা ব্রাজিল-গোলপোস্ট সম্পর্কের নিত্যতা। এবার বারে লেগে বল বাইরে না গিয়ে ঢুকে গেলো। আমি ব্যতিক্রমী কিছু একটার গন্ধ পেলাম। অস্কার, নেইমাররাও বোধ হয় পেলেন এবং তারা জেগে উঠলেন। ধ্রুপদী কিছু না হলেও মোটামুটি কার্যকর একটা ম্যাচ খেলে ৩-১ এ ম্যাচটা বের করে আনলো ব্রাজিল। পুরো ম্যাচে অস্কার ছিলেন দুর্দান্ত। ৩টি গোলেই তার ছোঁয়া- তিন নাম্বারটা তো তার একান্ত নিজস্ব ও সম্ভবত ম্যাচের সেরা। মাঝ মাঠের একটু ওপর থেকে বল পেয়ে সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় বড় ডি পর্যন্ত দৌড়ে গেলেন। বলটা নিয়ে কী করবেন অস্কার- পাস দেবেন, আরও ভেতরে ঢুকবেন নাকি দূর থেকেই শট নেবেন- এ সব ভেবে যখন গলদঘর্ম হচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ- তখন অস্কার সহজতম কাজটা করলেন। বুটের মাথা দিয়ে একটা টোকা দিয়ে বলটা প্রথম বার দিয়েই জালে পাঠালেন। অতখানি দূর থেকে এরকম শট জালে ঢোকার কথা নয়। ঢুকলো যে সেটা পায়ের জোরে নয়, মাথার জোরে। Outsmarting the opponent- বলে ইংরেজিতে একটা কথা আছে। আমার মনে হয়েছে এই গোলটা ছিলো তারই ফল। প্রথম ম্যাচে নেইমারের দুই গোল (হ্যাঁ, মাঝে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছেন এবং সেটি খুব আত্মবিশ্বাসী পেনাল্টি কিক ছিল না, পেনাল্টিটার বৈধতা নিয়েও অনেকে আপত্তি তুলেছেন), অস্কারের অসাধারণ নৈপুন্য এবং শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষতক বড় জয়- হেক্সা মিশনের জন্য এর চাইতে ভাল সূচনার কথা ক’জন ভেবেছিল?
এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহটা ছিল নায়কদের দখলে। বড় দলের বড় তারকারা ভাল খেলেছেন। নেইমারকে দিয়ে যদি ব্যাপারটা শুরু হয়ে থাকে, তো তার ধারাবাহিকতা রেখেছেন নেদারল্যাল্ডসের রবিন ফন পার্সি, রবেন, আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, জার্মানির থমাস মুলার, ফ্রান্সের করিম বেনজামা, ইতালির বালোতেল্লিরা। ও হ্যাঁ; পর্তুগাল ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রোনালদো পারেননি- তিনি ব্যতিক্রম। পারেননি ইংল্যান্ডের রুনিও। তবে তাকে কেউ ব্যতিক্রম বলতে চাইবেন না; তার পারার কথাই নাকি ছিল না। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সাবেকদের অন্যতম গ্যারি লিনেকার তো রুনিকে সেদেশের প্রথম একাদশেই দেখতে চাননি। এদিকে প্রথম ম্যাচের ম্যাড়মেড়ে পারফর্ম্যান্সের পর মাঠের বাইরেও সময়টা ভাল যাচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। পত্রিকায় সি আর-সেভেনের (রোনালদোর পোশাকি নাম) শরীরের রোমহীন উদোম উর্ধাংশ দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাট হামেলসের বান্ধবী। প্রথম খেলায় এই জার্মানির কাছেই ৪ গোল খেয়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। থমাস মুলারের হ্যাটট্রিক, মুলারকে পর্তুগাল ডিফেন্ডার পেপের ঢুঁশ ও সে কারণে টুর্নামেন্টের প্রথম লালকার্ড দেখে পেপের বহিষ্কার এবং পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় রোনালদোর জন্য মনে রাখার মতো কোনো মুহূর্ত তৈরি না হওয়া- এগুলোই ছিল সে খেলার মূল হাইলাইট। হামেলসও এই খেলায় গোল করেছেন। সেই উত্তেজনা থেকেই কি না- জনপ্রিয় জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড’ এ তার নিজস্ব কলামে হামেলসের মডেল গার্ল ফ্রেন্ড জানাচ্ছেন- ‘রোনালদোর মতো ও রকম রোমহীন পা নাকি তার নিজেরও নেই’!
প্রথম সপ্তাহের সবচাইতে বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্পেন- নেদারল্যাল্ডসের ম্যাচ। এ ম্যাচ শেষে যে কথাটি সবচাইতে বেবি উচ্চারিত হচ্ছে- তা হলো ‘টিকি-টাকা’র মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে’। স্পেনের খেলার ধরনটা বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমিদের মাঝে ’টিকি-টাকা’ স্টাইল নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটা হল দ্রুত লয়ের ছোট ছোট পাসে খেলা। স্পেন-নেদারল্যাল্ডস ম্যাচটা যারা দেখেছেন, তারা অবশ্যই বলবেন নেদারল্যাল্ডস সে দিন টিকি-টাকাকে কবর দিয়েছে। এমন একপেশে ম্যাচ- শুধু ৫-১ ফলের জন্যই নয়, খেলার মানের বিচারেও খুব বেশি দেখা যায়নি। ব্যাপারটা আরও অনেক বড় ও তাৎপর্যময় হয়ে যায় যখন এই একপেশে খেলাটা খেলা হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন একটা দলের বিপক্ষে। বাজে একটা পেনাল্টিতে প্রথমে নেদারল্যাল্ডস একটা গোল খেয়ে বসে। কিন্তু ওটা যে ছিল- blessing in disguise- সেটা বুঝতে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। শুরুটা করেন অধিনায়ক রবিন ভ্যান পার্সি নিজেই। বাঁ পাশ থেকে বাঁকানো একটা ক্রস স্পেনের ডি বক্রে ফেলেছিলেন সতীর্থ একজন। ফন পার্সি অনেক দূর থেকে দৌড়ে গিয়ে নিজেকে যেন নিক্ষেপ করলেন ঐ বলের দিকে। ছবিটা হয়ে গেলো একজন ‘ফ্লাইং-ডাচম্যানের। তার এই ফ্লাইং হেডার ক্যাসিয়াসকে হতভম্ব করে দিয়ে জালে ঢুকে গেলে পুরো নেদারল্যাল্ডস দলটা যেন এক মৃত-সঞ্জিবনী সুধার প্রভাবে নতুন প্রাণ ফিরে পেলো। আর্সেনালে এবারের মৌসুমের একটা বড় অংশ কেটেছে ইনজুরিতে- সেরা ফর্মে ছিলেন না পার্সি। কিন্তু ফর্মে ফিরতে কখনো কখনও উপলক্ষই যথেষ্ট হয়, ফার্সি যেন সে দিন তাই প্রমাণ করলেন। সেই তুলনায় রবেন ফর্মেই ছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখের দুই প্রাণ ভোমরার একটা (অন্যটা ফ্রান্সের রিবেরি, ইনজুরির কারণে যার বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে) বুড়োটে চেহারার এই ডাচম্যান। মাথায় চুল না থাকলে কী হবে, ফুটবল চাতুর্য্যরে কিছুমাত্র কমতি যে সেখানে নেই, সে দিনের পুরো ম্যাচে সেটাই দেখিয়েছেন। অসাধারণ দু’টো গোল করেছেন, দ্বিতীয়টাতো এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরার মর্যাদা পেয়ে যাবে বলে আমার ধারণা- হ্যাট্রিকও হয়ে যেতে পারতো; রোবেন সত্যিকার অর্থেই ছিলেন এ ম্যাচের নায়ক।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা বসনিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচটাতে জয়সূচক গোল পেতে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। আর অপেক্ষা করতে হয়েছিল একটা ’মেসি ম্যাজিকে’র জন্য। বার্সেলোনাতে নিয়মিত যে ধরনের গোলগুলো করার কারণে আজ তিনি বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছেন- সেদিন ঠিক সেরকম একটা গোল করে দেখিয়েছেন এই জিনিয়াস। বড় ডি’র বেশ খানিকটা বাইরে মাঠের ডান দিকে বল পেয়েছিলেন। পেয়েই ছুট- বল আঠার মত তার পায়ে লাগানো। ড্রিব্ল করে ডান থেকে বাঁয়ে আসছিলেন। দু’ জন বসনিয়ন ডিফেন্ডারকে কাটালেন বড় ডি’র ঠিক বাইরে- এমনভাবে যে তারা একজন আরেকজনের ওপর উল্টে পড়ল। এরপর সেই বাঁ পায়ের বুলেট- ডি’র বাইরে থেকেই। বসনিয়ান গোলকিপার ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ বুলেটের ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পেরে ওঠা তার সামর্থ্যরে বাইরে ছিল। বল চোখের পলকে জালে জড়িয়ে গেল।
স্পেন অধিনায়ক ও গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে নিয়ে দু’কথা না বললেই নয়। এই ম্যাচের পর সবাই বলছে মরিনহোই ঠিক ছিলেন- মানে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকার সময় তিনি যে শেষ মৌসুমটাতে ক্যাসিয়াসকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন, সেটাই নাকি ঠিক ছিল। ক্যাসিয়াস রিয়ালের গোল পাহারা দেবার জন্য প্রথম পছন্দ নন। তাহলে স্পেনের বেলায় তো আরো নন। সে দিনের ম্যাচে ক্যাসিয়াসকে দেখে কষ্ট লেগেছে। ভুতুড়ে পারফর্ম্যান্স বলতে যা বুঝায় - এটা ছিল তাই। যেন কী করতে হবে বুঝে ওঠতে পারছিলেন না। তবে দোষ শুধু তাকে দিলেই হবে না, বিজ্ঞ স্পেন কোচ দেল বস্ক তা দেনও নি। তিনি দায়টা সবার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন এবং তা সঙ্গত কারণেই। বলটা যে পুরো মাঠ অতিক্রম করে বারবার স্পেনের বক্রে ঢুকে পড়ছিলো, গোলরক্ষক হয়ে সে দায়তো আর ক্যাসিয়াস নিতে পারেন না।
এবারের বিশ্বকাপের টেলিভিশন সম্প্রচারের একটা দিক আমার নজর কেড়েছে। এবার ক্যামেরাগুলো যেন ক্লোজ-আপকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ঘটনা দুর্ঘটনার পরে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, রেফারি, এমনকি গ্যালারিতে সমর্থকদের অভিব্যক্তিগুলোকে দারুনভাবে তুলে আনা হচ্ছে। মারাকানা স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই ভয়াবহ পরাজয়ের পর এরকম একটা ক্যামেরা বার বার গিয়ে পড়ছিল স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক আর ইকার ক্যাসিয়াসের মুখের ওপর। বয়স এবং ধীর মেজাজের কারণে এমনিতেই অনেকে দেল বস্ককে সাধু বলে ডাকেন। সাধু ক্যাসিয়াসকেও বলা হয়- নেদারল্যাল্ডসের কাছে ওই পরাজয়ের পর এই দু’ জনের চেহারায় যে শুণ্যতা ভর করেছিল- তা নিঃসন্দেহে তাদের সাধু পরিচয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এদরকে এভাবে দেখে আমার সেদিন খারাপই লেগেছে।
ব্রাজিল ২০১৪ সালে প্রথম সপ্তাহটা ছিল বিজয়ের জয়জয়কার। টানা ১১ টি ম্যাচে ফলাফল এসেছে। প্রথম ড্র ম্যাচ দেখতে পঞ্চম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ব্রাজিল মেক্রিকোর সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটা ড্র করেছে। সঙ্গে রাশিয়া- দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচটা ধরলে ড্র ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়ায় তিনে। এটা একটা মোটামুটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বোঝা যাচ্ছে এবার সব দলের ভেতরে জয়ের ক্ষুধাটা অন্য যে কোন সময়ের চাইতে বেশি। এটা ফুটবলের জন্য সুখবর। জয় এই ’জয়-ক্ষুধা’র!
(এএসএমবি/এএস/সিজি/জুন ২২, ২০১৪)