থাইল্যান্ডে সেনা সদর দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: থাইল্যান্ডে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ষষ্ঠদিনে বিক্ষোভকারীরা দেশটির সেনা সদর দফতর প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এছাড়া, বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সদর দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ করেছে। খবর বিবিসির।
শুক্রবার কমপক্ষে এক হাজার বিক্ষোভকারী সেনা সদর দফতরের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা সেনা সদর দফতর প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীকে তাদের আন্দোলনে সাহায্য করার দাবি জানায়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই তারা সেনা প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টির সদর দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ করেছে। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে দেশটির উপ-পুলিশ প্রধান ওয়োরাপন সিয়েওয়াপ্রিচা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার থাই সংসদে অনাস্থা ভোটে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পর বিরোধী দলের প্রতি বিক্ষোভ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তবে সরকার বিরোধী এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বিরোধীদলীয় নেতা সুথেপ থাওগসুবান তার এ আহ্বান প্রত্যাখান করেছেন।
বৃহস্পতিবারের ওই অনাস্থা ভোটে ইংলাক পেয়েছেন ২৯৭ ভোট আর বিপক্ষে পড়েছে ১৩৪ ভোট।
বিতর্কিত অ্যামনেস্টি বিল নিয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই অ্যামনেস্টি বিল অনুয়ায়ী দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করতে হবে না।
ওই বিলটি থাই সিনেটে পাশ না হলেও প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।
২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।
সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
থাকসিনের বোন ইংলাক ক্ষমতায় আসার পর দেশটির রাজনীতিতে স্থিরতা আসে। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ ইংলাক তার ভাইয়ের পুতুল হয়ে দেশ চালাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমডি/নভেম্বর ২৯, ২০১৩)