চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে শনিবার রোজা শুরু
চট্টগ্রাম অফিস : দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬০টি গ্রামে শনিবার পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। মীর্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওই ৬০ গ্রামের ৫ হাজার পরিবারের ২ লাখেরও বেশি মানুষ শনিবার থেকে রোজা রাখবেন। সে হিসেবে তারা চাঁদ দেখার আগেই ঈদ উৎসবও পালন করবেন।
মীর্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী আহাম্মদ হোসেন ও মেরাজ উদ্দিন জানান, সৌদি আরবসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে রোজা শুরু হবে। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখেই এখানে রোজা, ঈদ ও কোরবানি পালন করেন তারা।
চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর, সাতবাড়িয়া, হারলা, বাইনজুড়ী, বরকল ও কানাইমাদারী, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, চরতী সুইপুরা ও গাটিয়াডেঙ্গা, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ, পটিয়া উপজেলার কালারপুল, হাইদগাঁও, মলপাড়া, পৌরসদর ও বাহুলী, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, বেক্সগুরা ও সারোয়াতলী, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, রাজাখালী, টেকনাফ ও হ্নীলা গ্রামের সব পরিবার শনিবার থেকে রোজা পালন শুরু করবেন।
সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল এলাকার মাওলানা ইব্রাহীম মুন্সী জানান, বিগত ২০০ বছর আগে তৎকালীন গদিনশীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহ.) (মীর্জাখিল পীর নামে পরিচিত) পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ ও কোরবানি পালনের নিয়ম চালু করেন। যা পীরের ভক্তরা আজও মেনে চলেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী মাওলানা আবদুর রহমান জানান, সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রায় ৫১টি দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে মির্জাখীল ভক্তরা রোজা, ঈদ উৎসব ও কোরবানি পালন করেন। বিশেষ করে হানাফী মাজহাবের অনুসারীরাই এ নিয়ম পালন করে থাকেন বলেও তিনি জানান।
(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/এইচএইচ/আরকে/জুন ২৭, ২০১৪)