ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ (৭) ত্রিশাল আসনে রেজা আলী এমপিকে মনোনয়ন দেওয়ার বিক্ষুব্ধ হয়েছে উঠেছে আওয়ামী লীগের তিনটি গ্রুপ।

শুক্রবার রেজা আলী সমর্থক ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ অফিসে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশত রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ত্রিশাল আসনে রেজা আলী এমপিকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী সাবেক এমপি আব্দুল মতিন গ্রুপ, সাবেক এমপি রুহুল আমিন মাদানী, পৌর মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান অনিস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী আবুল কালাম গ্রুপ যৌথভাবে ত্রিশাল বাস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

পরে রেজা আলীর আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় রেজা আলী এমপি গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগ সেক্রেটারী ইমরান গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়।

পরে মাঠে নামেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন মাদানী, পৌর মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান অনিস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী আবুল কালাম গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা। এ সময় পুরো বাস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে। রেজা আলীর ব্যানার-পোষ্টার ও ফেষ্টুন ছিড়ে পুড়িয়ে দিয়ে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশত রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ধানীখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এসবি/নভেম্বর ২৯, ২০১৩)