শেষ চারে শেখ জামাল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামাল ৩-১ গোলে হারিয়েছে ৮ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য দেখিয়েছে শেখ জামাল। তাদের দুই বিদেশি ওয়েডসন ও নর্দেকে রুখতেই হিমশিম খেতে হয়েছে মোহামেডানের রক্ষনভাগের। ২৮ মিনিটে মোহামেডানের মিশরীয় রিক্রুট মোস্তফা সিদ্দিকের ভলি শেখ জামালের গোলরক্ষক জিয়া ফিরিয়ে দেন।
খেলার ৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডারলিংটনের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে প্রান্ত দিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন সনি নর্দে। মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ে শটে গোল করে শেখ জামালকে এগিয়ে দেন হাইতির এই ফরোয়ার্ড। ৪৪ মিনিটে নর্দে আবারও বা প্রান্ত দিয়ে ঢুকে বক্সের ভেতর থেকে যে ক্রসটি করেন তা অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বা প্রান্ত থেকে ফ্রিকিক পায় জামাল। জামালের ওয়েডসনের নেওয়া ফ্রিকিক পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
বিরতির পর খেলার ৫১ ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় শেখ জামাল। মামুনুলের বাড়ানো বলে ওয়েডসনের শট মোহামেডানের গোলরক্ষক মামুন রুখে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন। ৫৪ মিনিটে আবারো নর্দে ম্যাজিক। অধিনায়ক মামুনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি সনি নর্দে। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। শেখ জামালের নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড সনি নর্দেকে মারাত্মকভাবে ফাউল করেন মোহামেডানের সিসান আইড়–। ফলে সনিকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। সনিকে ফাউলের জন্য রেফারি সিসানকে হলুদ কার্ড দেখান। রেফারি এই শাস্তি মেনে নিতে পারেনি শেখ জামাল দল। প্রতিবাদ করায় শেখ জামালের কোচ আফুসি যোসেফকে ডাগ আউট থেকে বের করে দেন রেফারি।
৮২ মিনিটে সোহেলর পাস থেকে জামালের অধিনায়ক মামুনুল যে শটটি নেন তা আশ্রয় নেয় মোহামেডানের জালে। এর ২ মিনিট পর সিসানের পাস থেকে চুকা চার্লস মোহামেডানের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের তিক্ত হারের স্বাদ নিয়ে বিদায় নিলো সাদা-কালো শিবির।
(দ্য রিপোর্ট/সিজি/কেএ/নভেম্বর ২৯, ২০১৩)