চট্টগ্রাম অফিস : প্রেস ও সাংবাদিক লেখা মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

শনিবার সকাল থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে এ অভিযান চলছে।

সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন প্রেস বা সাংবাদিক লেখা অসংখ্য মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস চলাচল করে। যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।

এসব গাড়ির চালকের কাছে কাগজপত্র চাইলে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। অথচ তাদের অনেকে ভুয়া সাংবাদিক। সাংবাদিকদের সম্মানের সুযোগ নিয়ে এ সব ভুয়া সাংবাদিক বছরের পর বছর পারমিটের কাগজপত্র না নিয়ে সরকারকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে।

সরকারের রাজস্ব বাড়াতে পুলিশ ‘প্রেস বা সাংবাদিক’ লেখা সকল প্রকার মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরীতেও সকাল থেকে এ সব মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

সিএমপি সূত্র জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানা ফটক, নিউমার্কেট, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, একে খান, জিইসির মোড়, বহদ্দারহাট, শাহআমানত সেতু ফটক, চকবাজার, মুরাদপুর, কাজীর দেউরি, আন্দরকিল্লা, অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কালামিয়া বাজার, পাঁচলাইশ থানা ফটকসহ সবকয়টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে এ অভিযান চলছে।

সকাল থেকে অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দানকারী বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি আটক করেছে। যাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ফলে এ সব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া চান্দগাঁও থানার এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বহদ্দারহাট মোড়ে প্রেস বা সাংবাদিক লেখা স্টিকারযুক্ত প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।

তারমধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৩টি মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তারা সাংবাদিক না হয়েও অবৈধভাবে মোটরসাইকেলে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়েছেন। এ ছাড়া কোনো কাগজপত্র না থাকায় প্রেস লেখা ৭টি গাড়িও আটক করা হয়।

সিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকা সকল প্রকার প্রেস বা সাংবাদিক লেখা মোটরযান আটকের নিয়ম রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এসবি/আরকে/জুন ২৮, ২০১৪)