মাগুরায় বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ২
মাগুরা সংবাদদাতা : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাগুরা শহরতলির মালিকগ্রামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ হোসেন (২২) ও নাইম ইসলাম নামে ২ যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ফরিদ হোসেন মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত আওয়ামী লীগ সমর্থক ফরিদ হোসেন (২৫) এবং নাইম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার সকালে বিএনপি সমর্থকদের অর্ধশত বাড়ি এবং ৬ দোকানে কয়েকদফা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় চাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রেজাউল মাস্টারকে তার শহরের বাসা থেকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করেছে।
মাগুরা সদর উপজেলার মালিকগ্রামের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বিডিয়ার বাচ্চু ও রাজ্জাক সমর্থকদের সঙ্গে শুক্রবার বিকালে বিএনপি নেতা খলিলুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিমুল বিশ্বাস, মিলন বিশ্বাস, সোহাগ, উজ্জল, হিরক ও ওসমান বিশ্বাসসহ ৮ জন আহত হন। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে নেওয়ার পথে ফরিদ হোসেনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোর রাতে নাইম হোসেন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপি সমর্থকদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে চলছে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
সহকারী পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসই/এএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৩)