‘একতরফা নির্বাচন হলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জোর করে একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, জোর করে একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমরা চাই না এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হউক। প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই নিজে বাঁচুন, দেশ বাঁচান, গণতন্ত্র বাঁচান।
এক টেলিফোনে সমাধান উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, দেশে শান্তি আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বার অ্যাসোসিয়েশনের এই সহ-সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসুন। দমননীতিতে সাময়িকভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে। কিন্তু এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। গণতান্ত্রিক দেশে যা দেখলাম, তা বর্বর সমাজেও হয় না। সরকার নিজেদের লোক দিয়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম তা একাত্তর সালেও দেখিনি।
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা যে চেয়ারে বসেন সে চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের চেয়ারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের উপর পদাঘাত ।
উল্লেখ্য, এর আগে খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে পেশাজীবী নেতারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। একদিকে সরকার নিজেদের লোক দিয়ে হামলা ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। অপরদিকে মানুষ যে স্বেচ্ছায় আন্দোলন করছে, সেটা যাতে প্রচার না হয় সে জন্য গণমাধ্যমের উপর হামলা করছে।
এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, সরকার একদিকে নির্বাচনের কথা বলছে অন্যদিকে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে।
বিএনপি অফিস থেকে রিজভী আহমেদকে গ্রেফতার করে সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে রুহুল আমীন গাজী বলেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর, বিএনপি অফিস ভাঙচুর করায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং রিজভী আহমেদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, আমিরুল ইসলাম কাগজি, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এমএইচ/এসবি/এইচএসএম/নভেম্বর ৩০, ২০১৩)