‘বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে আপনি কি সুখ পান, কী লাভ আছে এতে? অবশ্য যারা ১৫ আগস্টের মতো দিনে ভুয়া জন্মদিন পালন করতে পারেন, ২১ আগস্টের মতো হামলা করতে পারে তাদের মানসিকতা সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) মনে খুব দুঃখ, ব্যথা। কারণ, তিনি যেই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন এখন তাদের বিচার হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার খুনীদেরকেও বিএনপি পুনর্বাসিত করেছিল তারা রেহাই পায়নি। বিচার হয়েছে। শাস্তি হয়েছে। যারা এখনো ধরা পড়েনি তাদেরকেও ধরা হবে ইনশাল্লাহ।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকার পর একটি ছেদ পড়েছে। বিরোধীদল এবারও অগণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। এর ব্যত্যয় হবে না।
দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি শুধু আগুনে মানুষ পোড়ায় না, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফও পোড়ায়। তাদের কোনো নীতি নেই। দেশের প্রতি দরদ নেই।
খালেদা জিয়ার জন্ম বাংলাদেশের মাটিতে নয়। ভারতের শিলিগুড়ির চা বাগানে জন্ম নিয়েছেন তিনি। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকবে কি করে? তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন কিনা আমার সন্দেহ আছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনলাপের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার টেলিফোন করে পাইনি। টেলিফোন রিসিভ করতে না পারলে পরবর্তীতে ফিরতি ফোন করতে হয়। এই ভদ্রতাটাও উনার জানা নেই বোধ হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বশীল জায়গায় আছি। দায়িত্ব নিয়েই যোগাযোগ করেছি। কিন্তু বিরোধদলীয় নেত্রীর কাছ থেকে দায়িত্বশীলতা পাইনি।
নিজে বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, হুমায়ুন আজাদ সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকে দেখতে আমাকে ক্যান্টনমেন্টে যেতে দেওয়া হয়নি।
আমি গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে ৪ কিলোমিটার গিয়েছি। তারপরও অনুমতি মিলেনি। উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
যুবকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন করে। যুবকদের জন্য আমরা ২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। প্রায় এক কোটি যুবককে সরকারি ও বেসকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/বিকে/জেএম/নভেম্বর ৩০, ২০১৩)