দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রমজানের খাবারের দুই প্রধান সময় ইফতার ও সাহরি। তাই এ সময়ে বিশেষ আয়োজন করা হয়। সংযম পরিণত হয় অপরিমিত ভোগে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ সময়ের খাবার হবে অতি সাধারণ। অনুসরণ করতে হবে সাধারণ সময়ের সুষম খাদ্যসূচি। যদিও এর উল্টোটা দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।



খাবারে যা যা থাকতে পারে :

- ফলমূল ও সবজি

- ভাত ও আলুর মতো শর্করার উৎস

- মাছ, মাংস বা এর বিকল্প

- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

- পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বি ও চিনিসমৃদ্ধ খাবার

অর্থাৎ, সব ধরনের পুষ্টি উপাদান খাবারে সুষম পরিমাণে থাকতে হবে।

রোজার দিনে শক্তির উৎস হিসেবে শর্করা জাতীয় খাবার বেশ কার্যকর। কারণ এ ধরনের খাবার দীর্ঘ সময় ধরে আস্তে আস্তে শক্তি সরবরাহ করে। আঁশ সমৃদ্ধ খাবারও ধীরে ধীরে হজম হয়। তাই এ সব খাবার বেশ দরকারি। শর্করা পেতে পারেন ভাত, রুটি ও আলু থেকে। এ সব খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি থেকে মিলবে আঁশ। অতি প্রচলিত ও মুখরোচক অতিভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। চা, কফি ও কোলা পান থেকে বিরত থাকুন। এ সব পানীয় শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে।

সাহরিতে এমন খাবার দরকার যা অনেক সময় ধরে প্রচুর শক্তি দেয়। তাই এ সময় ভাত, রুটি, সালাদের মতো আস্তে আস্তে হজম হয় এমন খাবার খান। সঙ্গে থাকবে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলের রস বা ফল।

রাসুল (সা.) এর সময় থেকে ইফতারে খেজুর খাওয়ার প্রচলন। এতে আছে শক্তি উৎপাদনকাররী উপাদান। যা নিমিষে দেহকে পুনরুজ্জীবিত করবে। ফলের রসও একই কাজ করে। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তবে অতিরিক্ত পান থেকে বিরত থাকুন। পরিহার করুন প্রচলিত ভারি খাবার।

যে সব খাবার পরিহার করবেন :

- অতিভাজা খাবার

- চিনি ও চর্বির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হয়েছে এমন খাবার

- বেশি পরিমাণ চর্বি দিয়ে রান্না করা খাবার

বিকল্প খাবার :

- সেকা খাবার ও সিদ্ধ পুডিং

- তেলবিহীন রুটি

- গ্রিল করা মাংস

- দুগ্ধজাত মিষ্টি ও পুডিং

যে ভাবে রান্না করবেন না :

- অতিভাজা বা পোড়া

- তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার

স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রান্না করুন :

- হালকা ভাজা

- গ্রিল বা সেকা খাবার অনেকটা স্বাস্থ্যসম্মত। এটি খাবারের আসল স্বাদ ধরে রাখে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/আরকে/জুলাই ০১, ২০১৪)