দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রোজা রাখা প্রাপ্তবয়স্কদের বিধান হলেও অনেক শিশু-কিশোর শখের বশে রোজা রাখে। মা-বাবাও ভবিষ্যতের কথা ভেবে সন্তানদের ছোট বয়সে রোজা রাখায় উৎসাহ দেন।

বড়দের মতো ছোটদের ক্ষেত্রেও রোজা পালনে শৃংখলা দরকার। আবহাওয়ার ধরনের উপর ভিত্তি করে নিতে হয় বিশেষ সতর্কতা। যেমন- গরমে রোজা দীর্ঘ থাকে। শরীরে প্রচুর শক্তি ও পানীয়ের প্রয়োজন হয়। তাই অভিভাবকদের ভাবা উচিত শিশুরা কতক্ষণ না খেয়ে সহ্য করতে পারবে। প্রয়োজনে রোজার আগে না খেয়ে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।

রোজা রাখা শিশুদের বেশি দৌড়ঝাপ বা ব্যায়াম করতে মানা করুন। তবে বেশি খাটুনি হয় না এমন খেলাধূলায় উৎসাহিত করুন। ইফতারের পর যেন একসঙ্গে বেশি পানি পান না করে খেয়াল রাখুন।

সেহেরির খাবার শিশুদের জন্য খুবই দরকারি। এ সময় তাদের আঁশসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। ভাত, সবজি ও ফলের সঙ্গে রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ মাংস, বাটার, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার। এড়িয়ে চলতে বলুন বেশি চিনিযুক্ত খাবার। এমনকি অতিলবণযুক্ত খাবার, এগুলো তাকে দিনের বেলায় তৃষ্ণার্থ করে তুলবে।

একটা বড় ভুল হলো সেহেরি ও ইফতারে তাদের জোর করে বেশি বেশি খাওয়ানো। যা বদহজম ও শারীরিক অস্বস্তি তৈরি করে। দরকার হলে ইফতারের খাবার দুইবার নির্দিষ্ট সময়ের বিরতিতে খেতে দিন।

শিশুদের অতি প্রিয় কোমল পানীয় এবং মশলাযুক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার খেতে দিবেন না। তাদের ক্যালরি চাহিদা জেনে খাবারের পরিমাণ ঠিক করুন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- খাবারে বৈচিত্র্যতা বজায় রাখুন। আমাদের শরীরে শস্যদানা, ফল, সবজি, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস ও স্বাস্থ্যকর চর্বির প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে রয়েছে এদের নির্দিষ্ট কাজ। সুস্বাস্থ্যের জন্য সব ধরনের খাবারের সম্বন্বয়ে বিকল্প নেই। তাই শিশুর জন্য সব খাবারের সুষম বিন্যাস জেনে নিন। অবশ্যই ইফতার ও সেহেরির মাঝে নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করতে দিন। দিতে পারেন মজাদার শরবত ও ফলের রস।

এ ছাড়া এ সময় তাদের অতি আবশ্যিক ধর্মীয় বিধানের শিক্ষা দিতে পারেন। দেখবেন তারা বেশ উৎসাহের সঙ্গে শিখে নিচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/জুলাই ০২, ২০১৪)