একবার ভাবুন তো নিচে থিয়াগো সিলভা, মাঝ মাঠে অস্কার। লুইজ, আলভেজ, হাল্ক, নেইমারসহ বাদবাকি ৮ জন উপরে। কেমন হবে খেলাটা? খটকা লাগছে, লাগারই কথা। আজ থেকে ১৪২ বছর আগে ১৮৭২ সালে এমন অদ্ভুতুরে ফরমেশনে মাঠ সাজিয়েছিল স্কটল্যান্ড-ইংল্যান্ড। স্কটিশরা খেলেছিল ১-১-৮ ফরমেশনে। বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১ জন ডিফেন্ডার, ২ জন মিডফিল্ডরের সামনে ছিল ৭ জন ফরোয়ার্ড! রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের কাজ ছিল, বল পেলে আকাশচুম্বী শটে তা সামনের জটলার মধ্যে ফেলা। মজার ব্যাপার ১৫ জন ফরোয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। ফরোয়ার্ড কমিয়ে ১৮৮০ সালে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটি সমীকরণ দাঁড় করায় ইংলিশ ক্লাব রেক্সহাম। ২-৩-৫ ফরমেশনে সেবার ওয়েলশ কাপ জিতে তারা।

পরবর্তীকালে আলফ্রেড নবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করলেন যে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে ‘নবেল’ পুরস্কার প্রত্যাবর্তন করলেন। সেই নবেল পেলেন বাঙালি রবীন্দ্রনাথ। আইনস্টাইন, রাদারফোর্ড, অটোহানরা এসে পৃথিবীর বিজ্ঞান বদলে দিলেন। পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দিতে চাইলেন হিটলার। উপমহাদেশ স্বাধীন হল। ক্লাব ফুটবল স্থিত হওয়ার পর ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ হল। কত ঋষির গবেষণা, কত শিল্পীর সৃষ্টি লতায়-পাতায় জড়িয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীময় মহানন্দের মহাযজ্ঞ হয়ে উঠল ফুটবল। অভিযোজন ও অভিশংসনের পথে একটু একটু করে এগুলো ৩ হাজার বছর পুরনো খেলাটি। ২-৩-৫ থেকে, ৩-৩-৪, ৪-২-৪, ৪-৩-৩ কত রঙ্গে আর ঢঙ্গে যে সাজলো ফুটবল মাঠ তার ইয়ত্তা নেই।

১১ জনকে ঠিকভাবে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত করে রণপরিকল্পনা সাজানো খেলাটির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠল। ডায়মন্ড, ক্রিসমাস ট্রি, ক্যাত্তেনাসিও যে রং রূপের নাম। আদি সংলাপে অতিশয় গদ গদ না হলে ৫০-এর দশক থেকে মোটামুটি একটা রেখা টানা যায়। ৫-৩-২ ফরমেশনটা হাঙ্গেরির হাত ধরে তখন মোটামুটি জনপ্রিয়। সবাই বুঝতে পারল গোল করার জন্য যত লোক দরকার, ঠেকানোর জন্য এর চেয়ে বেশি চাই। সামনের ভিড় নিচে নেমে আসল। সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক জিতে বিশ্বকাপে এলো হাঙ্গেরি। ১৯৪৯-১৯৫৪ টানা ৪ বছর একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারল তারা এবং তা বিশ্বকাপ ফাইনাল! গত ৯০ বছরে ফুটবল মাঠ বিভিন্ন ফরমেশনে সাজলেও সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য ধারাটি সম্ভবত ৪-৪-২। এটাই ইতালিয়ান শব্দ ক্যাত্তেনাসিও হিসেবে পরিচিত। এ ফরমেশনটি এতই জনপ্রিয় যে, এর নামে ইংল্যান্ডের বহুল জনপ্রিয় ফুটবল ম্যাগাজিন ফোর ফোর টু-এর নামকরণ হয়। ৬০-এর দশকে ইন্টারমিলানের আর্জেন্টাইন কোচ হেলেনিও হেরেরার হাত ধরে ইউরোপিয়ানর ফুটবলে এর আধিপত্য শুরু হয়। প্রসঙ্গত, বলে রাখা দরকার, সর্বপ্রথম ত্রিশ-চল্লিশ দশকে সুইজারল্যান্ডের অস্ট্রিয়ান কোচ কার্ল রাপ্পান ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজান। ১৯৬৪ সালে প্রথম বছর রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে, পরের বছর বেনফিকাকে কোনো রকমে হারিয়ে (১-০) ইউরোপিয়ান কাপ জেতে গিয়াচিন্টো ফ্যাসেত্তির ইন্টারসিলান। ফ্যাসেত্তির কথা বললাম, কারণ এই সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারই ছিলেন হেরেরোর ইন্টারের মূল চালিকা শক্তি। মজার ব্যাপার হল ৪-৪-২ ফরমেশনের কথা বলা হলেও বার্গনিক, বেদিন, গুয়েরনিরোর পেছনে অথবা ঠিক সামনে থেকে ফরমেশনটাকে ১-৩-৪-২ বানিয়ে দিতেন ফ্যাসেত্তি। এই পজিশনটাই লিবেরো বা সুইপার ব্যাক হিসেবে চিরস্থায়ী আসন পায় ফুটবল অভিধানে। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে জার্মনির হয়ে ও পরবর্তী টানা ৩টি ইউরোপিয়ান কাপে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে লিবেরো হিসেবে রীতিমতো শিল্পী হয়ে উঠেন ফ্রান্স বেকেনবাওয়ার। পরবর্তী সময়ে আরেক জার্মান অধিনায়ক লোথার ম্যাথিয়াস ক্যারিয়ারজুড়েই ফ্রাংকো বারেসি সুইপার ব্যাক হিসেবে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। বারেসি ও এসি মিলানের কথায় পরে আসছি। ৪-৪-২ বা ক্যাট্টেনাসিও পদ্ধতিতে ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দিনো জফের ইতালি। এই ফরমেশনটি প্রথমবারের মতো ধাক্কা খায় পরের বিশ্বকাপে। ১৯৭০-এর ফাইনালে ফ্যাসেত্তি, বার্গনিকের ইতালিকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আনে ব্রাজিল। মাঝ মাঠে এডোয়ালদো, জোয়ারজিনহো ও গারসন। সামনে টোস্টাও, পেলে ও রিভেলিনো। পেছনে আলবার্টোর নেতৃত্বে ৪ ডিফেন্ডার। ৪-৩-৩ ফরমেশনে আজ্জুরিদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে (৪-১) চিরতরে জুলেরিমে ট্রফি জিতে নেয় ব্রাজিল। ১৯৬৬-এর বিশ্বকাপেও এই ফরমেশনে খেলেছিলেন স্যান্তোস, গ্যারিঞ্চারা।

এরই মধ্যে বিশ্ব ফুটবলে ঝড়ের মতো আগমন রাইনাস মিশেলের। পজিশনিং বা জোনাল ফুটবল বাদ দিয়ে ‘প্রেসিং’ ফুটবল শুরু করেন তিনি। এবার ফরমেশন যাই হোক, সারা মাঠজুড়েই খেলতে হবে সবাইকে। লেফটব্যাক সামনে কিংবা মাঝে চলে যাওয়া উইংগারের জায়গায় চলে যাবেন। মিডফিল্ডার নিচে, স্ট্রাইকার কখনও সামনে, কখনও উইংয়ে, প্রয়োজনে ডিফেন্সেও নেমে আসবেন। যেখানে প্রতিপক্ষের পায়ে বল, সেখানেই অ্যাটাক করতে হবে। সর্বক্ষণ বল তথা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে। এ জন্যই এর নাম প্রেসিং ফুটবল। পরবর্তী সময়ে যার আরও সুন্দর আভিধানিক রূপান্তর হয় ’টোটাল ফুটবলে’। দু’পাশে ক্রুয়েফ-মুরেন। মাঝখানে জেন্ডার। সামনে সোয়ার্ট, কাইজার ও ভ্যান ডিক। রাইট উইংব্যাকে সুর্বিয়ার আর বাঁ দিকে ইয়োহান নেসকেন্স যেন বাতাসের মতো উড়তেন। ৪-৩-৩ ফরমেশনে ১৯৭১ সালে এ প্যানাথিনাইকস (২-০), পরের বছর ইন্টার মিলান (২-০), ৭৩-এ জুভেন্তাসকে (১-০) হারিয়ে টানা ৩ বার ইউরোপিয়ান কাপ জেতে আয়াক্স আমস্টার্ডাম। ৭৪-এ ব্রাজিল (২-০), আর্জেন্টিনাকে (৪-০) উড়িয়ে ফাইনালে ওঠে রাইনাস মিশেলের দল। তারপর সেই মিউনিখ ট্র্যাজেডি। ২-১ গোলের করুণ হার। ফ্যাসেওির স্টাইলে লিবেরো বেকেনবাওয়ার (ফোটস, সোয়ার্জব্যাক ও ব্রাইটনারের পেছনে খেলতেন) টোটাল ফুটবলের ’অবিচুয়ারি’ লিখে দেন। ১৯৭৮ সালেও ফাইনাল খেলেছিল হল্যান্ড, কিন্তু একই ফল বরণ করতে হয়েছে ক্যাম্পেসের আর্জেন্টিনার (১-৩) কাছে। বেকেনবাওয়ারের পর লিবেরো হিসেবে সবচেয়ে সফল ফুটবলার ফ্রাংকো বারেসি। প্রথমে আরিগো সাচ্চি, পরে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর কোচিং-এ ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫, ৭ বছরে ৩টি ইউরোপিয়ান কাপ, উইয়েফা সুপার কাপ ও দুটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে এসি মিলান। স্থানীয় শিরোপা তো ছিলই। পারফেক্ট ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলতো রুড গুলিতের দল। সামনে তার সঙ্গী আরেক ফ্লাইং ডাচম্যান মার্কো ভ্যান বাস্তেন। মাঝ মাঠে ডোনাডোনি, কলম্বো, কার্লো অ্যানচেলোত্তির নেতৃত্বে থাকতেন ফ্যাংক রাইকার্ড। টসোট্টো, মালদিনি ও আলেস্যান্দ্রো কোস্টাকোর্তার বস রক সলিড ফ্রাংকো বারেসি। ১৯৮৯ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ঠিক এটিই ছিল এসি মিলানের ফার্স্ট ইলেভেন। ক্যাপেলো চলে যাওয়ার বেশ ক’বছর পর ২০০৪,২০০৫-এ কার্লো অ্যানচেলত্তির অধীনে বেশ কিছু ম্যাচে ৪-১-২-১-২ ডায়মন্ড শেপে খেলেছে এসি মিলান। জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (ইউরোপিয়ান কাপ) ও সিরি ’এ’ শিরোপা। সামনে রুই কস্টা, কখনও ইনজাগি, কাকার ঠিক নিচে খেলতেন আন্দ্রেই পিয়েরলো। ঠিক সেই সময় বার্সেলোনা ধীরে ধীরে টিকিটাকায় স্থিত হচ্ছে। তাদের ফরমেশনও ৪-৪-২। রাইকার্ড এসে মেসিকে একটু নিচে নামিয়ে ফলস্ নাইন হিসেবে খেলান। ফরমেশনটি হয়ে যায় ৪-৪-১-১। গার্ডিওয়ালাও এভাবেই দল সাজাতেন। অপ্রতিরোধ্য বার্সেলোনা ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, গত ৮ বছরে ৬ বার স্প্যানিশ লিগ ও ২০১১ সালে জিতে ৬টি শিরোপা। বার্সেলোনার এই ছন্দময় ফুটবল কিন্তু প্রথম শুরু হয়েছিল ৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ইউহান ক্রুয়েফের হাত ধরে। পরে লুই ভন গাল, রাইকার্ড হয়ে ক্রুয়েফের সেই ড্রিম টিমের সৈনিক গার্ডিওয়ালার হাত ধরে পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয় টিকিটাকা। স্প্যানিশ ভাষায় কোনো খেলনা বা একটা কিছু নিয়ে হাতে জাগ্ল করাকেই বলে টিকিটাকা। তিউনিশিয়া-স্পেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বপ্রথম সাবেক স্প্যানিশ কোচ লুইস অ্যারাগোনেস এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ২০০৬ বিশ্বকাপে একে জনপ্রিয় করেন ধারাভাষ্যকার আন্দ্রেস মন্তেস। বার্সার তৈরি করা পধে হেঁটে ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ও মাঝে (২০১০) প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে টিকিটাকার সার্বিক সফল বাস্তবায়ন ঘটায় স্পেন। ৪-৪-২, ৪-৩-১-২, ৪-১-৩-২, ৪-৪-১-১ মোটামুটি এই ৪টি রূপে মাঠে ছবি আঁকে টিকিটাকা। মূল কৌশল সারাক্ষণ বলের দখল রেখে ছোট ছোট পাসে খেলা এবং খেলতে খেলতে প্রতিপক্ষের বল না পাওয়ার হতাশাকে কাজে লাগিয়ে ডেডলি ব্রেক বা ওপেনিং তৈরি করা। সেটপিসের প্রথাগত আক্রমণ তো আছেই। ফরমেশন যাই হোক, টিকিটাকায় মোটামুটি সবসময় মিডফিল্ডে ৬-৭ জন থাকে। ২ জন উইংব্যাক, ৪ জন মিডফিল্ডারের সঙ্গে একজন ফরোয়ার্ড। প্রায় ৬ বছর রাজত্ব করার পর এবারের বিশ্বকাপে টিকিটাকা ভূপতিত। প্রথমে হল্যান্ডের কাছে, এরপর চিলির কাছে। সঙ্গে গত তিন বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ও এবার স্প্যানিশ লিগে বার্সেলোনার ব্যর্থতা অনেককে অনিন্দ্যসুন্দর ধরনটির ‘অবিচুয়ারি’ লিখতে উৎসাহিত করেছে। ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে প্রথম টিকিটাকা বধ করেন হোসে মোরিনহো। জাভিকে নিষ্ক্রিয় করে ও মেসির কাছে বল আসার সকল পথ ভঙ্গ করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয় তুলে নেয় ইন্টার মিলান, পরবর্তী সময়ে শিরোপাও জেতে। ২০১১ সালে সেমিফাইনালে একই কাজ করে চেলসি, ৪-৫-১ ফরমেশনে দল সাজিয়ে বার্সাকে আটকে দেন ডি মাত্তিও এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতেন। গত বছর কনফিডারেশন কাপে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে ব্রাজিল কিন্তু অত আটোসাটো কৌশল প্রয়োগ করেনি। বহুল জনপ্রিয় ৪-৩-৩ ক্রিসমাস ট্রি রূপে দল সাজান স্কলারি। মাঝমাঠে অস্কার, গুস্তাভো, পওলিনহোর সামনে ফ্রেড, নেইমার, হাল্ক। এই বিশ্বকাপেও ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা অনেক ম্যাচের বার্সার আদলে ৪-৩-১-২। মাচেরানো খেলছেন লিবেরো হিসেবে। সামনে মেসির সঙ্গে হিগুয়েন, লাভেজ্জি, প্যালাসিও, অ্যাগুয়েরা এই চারজনের দু’জন। প্রসঙ্গত, কার্লোস বিলার্ডোর আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ৪-৪-২ এ। মজার ব্যাপার হল- এর আগের বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে বিয়ারজত কিন্তু ফাইনালে ক্যাত্তেনাসিও ছেড়ে ইতালিকে ৫-৩-২ ফরমেশনে খেলান। তবে ফরমেশন টেকনিক, ট্যাকটিকস নিয়ে আপনি যত কথাই বলুন, দলের সাফল্য নির্ভর করছে এর যথাযথ প্রয়োগ ও সে জন্য খেলোয়াড়দের প্রায়োগিক ক্ষমতার ওপর। পেলে ছাড়া ব্রাজিলের (১৯৭০) ৪-৩-৩, গুলিত-বাস্তেন ছাড়া এসি মিলানের ৪-৪-২ (১৯৮৮-৯৫) ক্রুয়েফ নেসকেন্স ছাড়া রাইনাস মিশেলের টোটাল ফুটবল (১৯৭১-৭৪) অথবা মেসি, ইনিয়েস্তা-জাভি ছাড়া গার্ডিওয়ালার টিকিটাকা আর দশটা ভুলপ্রসূ ফরমেশন হিসেবেই হয়ত মুখ থুবড়ে পড়ত। দিন শেষে খেলাটা গোলের। তা করা আর ঠেকানো গেলেই সাফল্য অবধারিত। কেউ যদি ৫-৩-১-১ পদ্ধতিতে খেলে বিশ্বকাপ জিততে পারে, তাহলে আমি আপনি তো ছাড়, পেলে, ম্যারাডোনা বলবার কে? সবশেষে রইল তকদীর এবং এটাই হল আখিরি দাওয়াই। ‘ওয়াক্ত সে পেহ্লে ওর তকদীরসে জ্যায়াদা কিসি কো কোচ নেহি মিলতা’! আর এ জন্যই সর্বোচ্চ মানের ফুটবল খেলেও কখনও কখনও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পুসকাস, ক্রুয়েফ, সক্রেটিস, প্লাতিনিদের!

(দ্য রিপোর্ট/এফজে/এএস/সা/জুলাই ৩, ২০১৪)