অন্তর্বর্তী সরকারের ফর্মুলা দিলেন খালেদা
হোটেল ওয়েস্টিনে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া এই কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও ১৮ দলীয় নেতা ও দেশের বিশিষ্ট্য নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সবার কাছে অবাধ, সু্ষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে একবার আওয়ামী লীগ ও একবার বিএনপি ক্ষমতায় আসে। আমি প্রস্তাব করছি, এই দুই তত্ত্বাধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পাঁচ জন ও সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা পাঁচ জন উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন।নির্বাচিত এই দশ জন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করবেন এবং সমাজের এক সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে তারা প্রধান উপদেষ্টা বা সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাচন করবেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। এতে সবসময় সাধারণ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতীতে এবং বর্তমানে আমার ও আমার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীদের চরিত্র হনন করে যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমি ঘোষণা দিচ্ছি ক্ষমতায় গেলে আমি এর প্রতিশোধ নেবো না। সবাইকে ক্ষমা করে দিচ্ছি।নিজেদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমরা সাধারণ জনগণের স্বার্থ ক্ষুন্ন করবো না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কথার পাল্টা উত্তর দিতে চাই না ।কেবল রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে চাই।’
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সব দলের অংশগ্রহণে নতুন ধারার ঐক্যমতের সরকার গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী সরকার হবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার।আগামীতে মেধাবী নাগরিকরা সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।তাহলেই দেশের এবং জাতির সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে যা বলেছেন তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।তিনি এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের কথা পরিস্কার করেননি ।এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের হাতেই ক্ষমতা রেখে দিচ্ছেন।’
(দিরিপোর্ট২৪/হানিফ রানা/মৌমিতা/এইচএসএম/অক্টোবর ২১, ২০১৩)