জাবি প্রতিনিধি : সহসাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট কাটছে না। অবিলম্বে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।

ক্লাস-পরীক্ষা ও পরিবহন ধর্মঘটের আওতামুক্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঐক্য ফোরামের ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ করে আন্দোলনরত ঐক্য ফোরাম। সমাবেশে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক হানিফ আলী, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনুসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।

সমাবেশে ঐক্য ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্য একের পর এক ছুটি বাড়িয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে টালবাহানা করছেন। জাবি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ তিনি সমস্যা সমাধানে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে।

এদিকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্চ ও নীল দলের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনারের পাদদেশে একটি সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষক মঞ্চ’। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. নাসিম আখতার হোসাইন। এ সময় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান সংবলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে শহীদ মিনার চত্বর এলাকাকে ঢেকে ফেলা হয়। এ সময় বক্তারা আন্দোলনরত শিক্ষকদের ‘দানব’ আখ্যায়িত করে বলেন, শিক্ষকরা দানবদের মত বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রাস করে ফেলেছে।

সমাবেশেই উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক সমিতিকে ব্যবহারের অভিযোগ করে সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিন শিক্ষক।

তারা হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম মহিউদ্দিন, নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের আমিনুল ইসলাম দুর্জয় ও ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী ।

তারা বলেন, আমাদের মতামতকে উপেক্ষা করে শিক্ষক সমিতিকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তগুলো সবার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। তাদের পদত্যাগের কথা শুনেছি, আমার কাছে এখনো তাদের লিখিত কাগজ আসেনি।

এদিকে অসুস্থতার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আরোও তিন দিন ছুটিতে থাকবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এসবি/নভেম্বর ৩০, ২০১৩)