দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ৪২-তম বিজয় দিবস উদযাপনে জাতি যখন প্রস্তুত তখন ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা ‘রক্ষায়’ রক্তপাত ও সহিংসতা আমাদের পিছু ছাড়ছে না।

একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ শুরু করেছিল সর্বাত্মক মুক্তিসংগ্রাম। পাকিস্তানি শাসকদের হানাদার বাহিনী সুসজ্জিত অস্ত্রশস্ত্রে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র বাংলাদেশের মানুষের উপর। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-বুদ্ধিজীবী-নারীসহ আপামর জনতা শুরু করেছিল প্রতিরোধ যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিজয় পতাকা ওড়ায় ১৬ ডিসেম্বর। হাজার বছরের সংগ্রামে এদেশের মানুষ পায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূ-খণ্ড।

তবে স্বাধীনতার চার দশক পার হবার পরও আমরা কী পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত শোষণ-নিপীড়ন মুক্ত সমাজ? শুধু ক্ষমতার পালাবদলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা ও রক্তপাতের নির্মম বলি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

পাকিস্তানী শাসন থেকে জাতি মুক্ত হলেও হানাহানির রাজনীতি থেকে মুক্তি মেলেনি আজও। বিজয়ের মাসের শুরুতেই চলছে প্রধান বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচী। আর অন্যদিকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোট শুরু করেছে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন। উভয় পক্ষের অনঢ় অবস্থানে শুধু গত কয়েকদিনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে অর্ধশত প্রাণ।

উভয় রাজনৈতিক জোটই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি উদাসিন বলে মনে করেন দেশের সাধারণ মানুষ। বিজয় অন্তরে ধারণ করে এই হানাহানির রাজনীতি থেকে মুক্তি চায় জনগণ।

(দ্য রিপোর্ট/এইচআর/এমডি/ডিসেম্বর ০১, ২০১৩)