চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : অবরোধের কারণে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুর ১টা থেকে আবারও শুরু হয়েছে রেল যোগাযোগ। ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ইস্পাহানী এলাকায় সকাল ১০টায় রেল লাইন অবরোধ করে।

অবরোধের কারণে পাহাড়তলীতে চট্টল্লা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে। স্টেশন মাস্টার শামসুল আলম ট্টেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে অবরোধ সরিয়ে দিয়ে ট্টেনটি নিরাপদে স্টেশন ছেড়ে যায়।

শামসুল আলম আরো জানান, ঢাকা ও চাঁদপুর থেকে আসা অপর দুটি ট্টেনও নিরাপদে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।

এদিকে, ইস্পাহানী ও পাহাড়তলীতে প্রায় অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অবরোধকারীরা। পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর আগে, সকাল ৮টায় বহাদ্দার হাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। তারা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে।

চান্দাগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল রউফ দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, ইস্পাহানী মোড়, কাজির দেউরী এলাকায় পিকেটাররা কযেকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এছাড়া সীতাকুন্ডে শনিবার রাতে কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় পিকেটাররা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এমএআর/ডিসেম্বর ০১, ২০১৩)