অন্তর্বর্তী সরকার : বিএনপির চিঠি গ্রহণ করলো আ.লীগ
মঙ্গলবার সকালে বিএনপির চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই চিঠি হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও বরকত উল্লাহ বুলু এমপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক দিরিপোর্টকে জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাসায় তারা চিঠি দিতে গিয়েছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দেওয়া চিঠিতে মূলত খালেদা জিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি প্রস্তাব তুলে করেন।
সূত্র জানায়, সৈয়দ আশরাফকে দেওয়া চিঠিতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে, ‘জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগেই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারি দল থেকে ৫ জন ও বিরোধী দল থেকে ৫ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করা হোক। ১৯৯৬ সালের ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সবার কাছে অবাধ, সু্ষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে একবার আওয়ামী লীগ ও একবার বিএনপি ক্ষমতায় আসে। আমি প্রস্তাব করছি, এই দুই তত্ত্বাধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পাঁচ জন ও সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা পাঁচ জন উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন।নির্বাচিত এই দশ জন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করবেন এবং সমাজের এক সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে তারা প্রধান উপদেষ্টা বা সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাচন করবেন।’
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। কেননা এতে সবসময় সাধারণ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে যা বলেছেন তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের কথা পরিস্কার করেননি ।এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের হাতেই ক্ষমতা রেখে দিচ্ছেন।’
(দিরিপোর্ট২৪/এইচআর-এম/এইচএসএম/জেএম/অক্টোবর ২২, ২০১৩)