যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মণিরামপুরে রবিবার যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। অবরোধকারীদের হাতে শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউএনও, ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হওয়ার ঘটনায় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

অভিযানে পুলিশের হাতে পত্রিকার দুই এজেন্ট এবং কয়েকজন নারী আহত হয়েছেন। এ সময় জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭টা থেকে মণিরামপুরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ-বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য অভিযান শুরু করে। তারা যশোর সদর, কেশবপুর, অভয়নগর ও ঝিকরগাছার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মণিরামপুরের বিভিন্ন গ্রামে যায়। যৌথবাহিনী মণিরামপুরের বেগারিতলা, টুনিয়াপাড়া, ভোজগাতি, কুয়াদা, চালকিডাঙ্গাসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা আরও জানান, পুলিশ এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও নারীদের মারধর করে। এ সময় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়। আটকদের সবাই জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে জানা গেছে।

এদিকে অভিযান চলাকালে কেশবপুর থেকে যশোরে আসার সময় মণিরামপুরে পুলিশের হাতে আতিয়ার রহমান ও দিন মোহাম্মদ নামে পত্রিকার দুই এজেন্ট আহত হন। তারা পত্রিকা নেওয়ার জন্য যশোরে আসছিলেন।

এসব বিষয়ে জানার জন্য মণিরামপুর থানার ওসি মীর রেজাউল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইলের ফোন কলটি কেটে দেন।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) রেশমা শারমিন জানান, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অভিযান চলে। এ সময় মোট ১০ জনকে আটক করা হয়। তবে বাড়ি ভাঙচুর বা নারীদের মারধরের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য্, ১৮ দলের দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথমদিন শনিবার বিকেলে মণিরামপুরে অবরোধ সরাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শরীফ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রেজাউল হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিশিকান্তসহ ২০ জন। অবরোধকারীরা পুলিশের একটি ট্রাকে আগুন দেয় এবং ইউএনওর জিপ ভাঙচুর করে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এনডিএস/ডিসেম্বর ০১,২০১৩)