দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। তৃতীয় দিনেও মাঠে নেই নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো মিছিল, অবস্থান অথবা শোডাউন করতে দেখা যায়নি নেতাকর্মীদের। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও ‘অবরুদ্ধ’। কার্যালয়ে নেই কোনো নেতাকর্মী। আছে শুধু কয়েকজন কর্মচারী।

আগামী নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এ কর্মসূচি আহ্বান করে।

চলমান কর্মসূচির শুরু থেকেই বিএনপির সিনিয়র নেতারাও চলে গেছেন ‘আত্মগোপনে’, যে কারণে সাধারণ নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে সাহস পাচ্ছে না। দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।

এদিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গ্রেফতারের পর দলের অপর যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে মুখপাত্রের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অবরোধে তৃতীয়দিনের শূরু পর্যন্ত বিএনপির দলীয় কার্যালয় কিংবা প্রকাশ্যে আসেননি। গত দুইদিন অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে বিবৃত দিয়ে অবরোধের চিত্র তুলে ধরেছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় মধ্যম সারি এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে দ্য রিপোর্টকে বলেন, গ্রেফতারের ভয়ে সিনিয়র নেতা যেখানে আত্মগোপনে চলে গেছে সেখানে আমরা রাস্তায় নেমে পুলিশের গুলি খেতে পারি না। আমাদের দ্বায়দ্বায়িত্ব কে নেবে?

১৮ দলীয় জোটের অংশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রাজপথে থাকার। কিন্তু পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে, নামতে দেয় না। তারপরও জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে।

বিএনপি অফিসে নেতাকর্মীদের আনাগোনা না থাকলেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা যায়। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনেসহ আশাপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন তারা।

দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের আনাগোনো সম্পর্কে জানাতে চাইলে কার্যালয়ের তথ্যাদি সংগ্রাহক মো. আব্দুল গাফফার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অবরোধ চলাকালে গত দুইদিনে দলের কোনো নেতা অফিসে আসেননি। আমরা অফিস কর্মচারীরা যারা শুরুর দিন থেকে ছিলাম তারাই আছি।’

উল্লেখ্য, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী আহমেদ গ্রেফতারের পর থেকে অফিস সহকারী, পিয়নসহ ৯ জন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্তান করছেন। এরা হলেন অফিস সুপারিনটেনডেন্ট আলহাজ জলিল উদ্দিন, অফিস কেয়ারটেকার হাজী মো. রুস্তম আলী, অফিস স্টাফ মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শামীম হোসেন, মো. আব্দুল গাফফার, মো. আজাদ, মো. নূর আলম লিটন, মো. ফারুক, মো. মঞ্জু।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/জেএম/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)