চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : ১৬ বছরে পূর্ণ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির। প্রায় দুই দশকের সংঘাত বন্ধে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এরপর কেটে গেছে ১৬ বছর। কিন্তু চুক্তির কিছু বিষয় ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্কের শেষ হয়নি আজও।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সন্তু লারমার অস্ত্র সমর্পণের মধ্যদিয়ে জনসংহতি সমিতির সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। ধীরে ধীরে হ্রাস পায় উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ। তবে এখনো অশান্তির বীজ লুকিয়ে রয়েছে।

শান্তি চুক্তির পর গত ১৬ বছরে জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (এমএন) ও ইউপিডিএফের আধিপত্যের লড়াইয়ে এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের কয়েকশ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।

এছাড়া চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়েও নানা মহলের নানা মত রয়েছে। সাধারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যেও চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। তাদের মতে, চুক্তিতে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি, হানাহানিও থামেনি।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফর) কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের মত, ‘পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত সমাধান। সরকার কখনো শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না এবং করলেও প্রকৃতপক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান হবে না।’

জেএসএস (এমএন)-এর আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে মহাজোট ক্ষমতায় আসলে চুক্তি বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার থাকলেও চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/আইজেকে/জেএম/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)