দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটা তারা মেরে দিয়েছে। গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এখনো আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেবেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশের জনগণ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। অন্যথায় স্বৈরশাসকের মতো এই সরকারের পতন হবে।

অবরোধ কর্মসূচি ৫৯ ঘণ্টা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে রাজপথ, বেলপথ ও নৌপথ অবরোধ চলবে। নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানা ও একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল না করার প্রতিবাদে আমরা অবরোধ কর্মসূচি বর্ধিত করছি।

তিনি বলেন, ‘অবরোধ কর্মসূচি বর্ধিত করায় অনেকের কষ্ট হবে। তারপরও এই কষ্ট স্বীকার করে অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ রাখছি।’

রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ আত্মগোপনে থেকে ভিডিও বার্তা ও টেলিফোনে সাংবাদিকদের কাছে দলের সর্বশেষ অবস্থা জানাচ্ছেন।

বিরোধী দলীয় নেতা গণহত্যা চালাচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ভিডিও বার্তায় যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গণহত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতাকে অভিযুক্ত করেছেন। এটা ঠিক নয়। শাপলা চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই গণহত্যা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস রক্ষীবাহিনীর বর্বর গণহত্যার ইতিহাস।’

তিনি বলেন, ‘কেবল তাই নয়, যাত্রীবাহী বাসে গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা ও লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার ইতিহাস এদেশের মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। এখনো তারা বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যার কাজ করে যাচ্ছে।’

রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের দেখার পর রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা গণহত্যায় নেমেছেন।’

উল্লেখ্য, শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/জেএম/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)