দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হলে বিরোধী দলের চলমান ‘নৈরাজ্য ও সহিংসতা’ মোকাবেলায় মাঠে নামবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।

সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিরোধী দলের ডাকা অবরোধবিরোধী অবস্থানকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মায়া বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। এটা শুরু হওয়ার পরেই আমরা আমাদের প্রিয় মার্কা নৌকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বো। নির্বাচনে ভোট চাইতে আমরা দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যাবো। এতে এক সঙ্গে দুই কাজ হবে। এক জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের জন্যে ভোট চাওয়া আর তাদের নৈরাজ্যের মোকাবেলা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার দোসর জামায়াত-শিবির এগুলো (নৈরাজ্য) করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার পায়ের নিচে মাটি নেই। তার সামনে এখন তিনটা পথ। এগুলো হলো বোমাবাজি করা, ছুরি দিয়ে মানুষ মারা আর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে মানুষ হত্যা করা। এই তিনটা রাস্তা ধরে খালেদা জিয়া এগোচ্ছেন। কিন্তু তার মনের ইচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হবে না। তার যে স্বপ্ন জামায়াত প্রতিষ্ঠা করা তা কোনদিন পূরণ হবে না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচন নস্যাৎ করার চেষ্টা সফল হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। এই নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবো।

বিরোধী দলের দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মায়া বলেন, এখন বাজে কয়টা? হিসেব করেন আজ (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত সময় আছে। খালেদা জিয়া যদি ইচ্ছে করে তাহেলে তিনি তাড়াহুড়ো করে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। আজকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশনও বলেছে এ সময় আর বাড়ানো হবে না। তিনি যদি আজ মনোনয়ন জমা না দেন তাহলে নির্বাচনের মাধ্যেমে ক্ষমতায় যেতে হলে তাকে (খালেদা) ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কথা অনুযায়ী আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারি নির্বাচন ৫ জানুয়ারি হচ্ছে এবং আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/জেএম/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)